দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : কাতারের সাবেক অর্থমন্ত্রী আলি শেরিফ আল-ইমাদির বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। তাকে ২০২১ সালে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এখন তিনি ফৌজদারি বিচারের মুখোমুখি হবেন। রাষ্ট্রীয় কাতার নিউজ এজেন্সি (কিউএনএ) রবিবার এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। আল-ইমাদিকে ২০২১ সালের মে মাসে গ্রেপ্তার করা হলেও তার মামলা সম্পর্কে খুব কম তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। কিউএনএর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে সাবেক মন্ত্রী অনির্দিষ্টসংখ্যক অভিযুক্তর সঙ্গে বিচারের মুখোমুখি হবেন।
কিউএনএ প্রতিবেদনে বলেছে, মামলার নথি থেকে প্রাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণে অভিযুক্তদের অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে। তাই অ্যাটর্নি জেনারেল অপরাধের শাস্তি দেওয়ার জন্য অভিযুক্তদের ফৌজদারি আদালতে পাঠানোর আদেশ জারি করেছেন। তাদের অপরাধের মধ্যে রয়েছে—ঘুষ, সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, পদের অপব্যবহার, ক্ষমতার অপব্যবহার, জনসাধারণের অর্থের ক্ষতি এবং অর্থ পাচার। তবে সাবেক এই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কী পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে সে বিষয়ে প্রতিবেদনে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি। আল-ইমাদিও তার মামলার বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি।
আল-ইমাদি উপসাগরীয় আরব আমিরাতে বিশিষ্ট ব্যক্তি হয়ে উঠেছিলেন। কারণ বর্তমান আমির সিংহাসনে আরোহণ করার পর কাতার ন্যাশনাল ব্যাংককে মধ্যপ্রাচ্যের বৃহত্তম ঋণদাতা হিসেবে রূপান্তরিত করা হয়েছিল। এ ছাড়াও আল-ইমাদি একসময় কাতারের সবচেয়ে প্রভাবশালী কর্মকর্তাদের একজন ছিলেন। ব্যাংকের চেয়ারম্যান, কাতারের সার্বভৌম সম্পদ তহবিলের বোর্ড এবং কাতার এয়ারওয়েজের নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। এদিকে রয়টার্স জানিয়েছে, কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল-থানি বলেছেন, তদন্তটি অর্থমন্ত্রী হিসেবে আল-ইমাদির ক্ষমতার সঙ্গে সম্পর্কিত, সার্বভৌম তহবিল বা ব্যাংকে তার পদের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।