দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মণিপুর রাজ্যে সহিংসতা থামাতে দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যপালের অনুমোদনক্রমে বিজেপি নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার গতকাল বৃহস্পতিবার এ আদেশ জারি করে। এর আগে রাজ্যে সামরিক ও আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়। রাজধানী ইম্ফলে চলছে থমথমে অবস্থা। রাজ্য সরকারের নির্দেশনামায় বলা হয়, চূড়ান্ত পরিস্থিতিতে কোনো উপায় না পাওয়া গেলে গুলি চালাতে পারবে নিরাপত্তা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনী।
এদিকে মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর উদ্যোগ প্রত্যাশা করেছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে টুইট করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং ও অমিত শাহর মধ্যে আলোচনা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, পরিস্থিতি উন্নতির দিকে।
ঘটনার সূত্রপাত হয় মণিপুর হাইকোর্টের একটি রায়কে কেন্দ্র করে। সম্প্রতি রাজ্যের ‘মৈতৈ’ জাতিগোষ্ঠীকে তফসিলি জাতিভুক্ত করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেন আদালত। কিন্তু রাজ্যের আদিবাসী জনগোষ্ঠী মানুষ তা মানতে নারাজ। ফলে আদিবাসী ও অ-আদিবাসীদের মধ্যে সংঘাত সৃষ্টি হয়। বুধবার চূড়াচাঁদপুর জেলার তোরবাংয়ে ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন মণিপুর (এটিএসইউএম)’ পদযাত্রার ডাক দেয়। এরপর গতকাল পর্যন্ত ধারাবাহিক সংঘাত চলতে থাকে। এর জেরে পশ্চিম ইম্ফল, কাকচিং, থৌবাল, জিরিবাম, চূড়াচাঁদপুর, বিষ্ণুপুর, কাংপোকবি ও তেগনৌপাল জেলায় কারফিউ জারি করা হয়। পরে সেনা নামানো হয়। ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।