দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : অধিকৃত পশ্চিম তীরে চলমান সহিংসতার মধ্যে সর্বশেষ ইসরায়েলি অভিযানে সৈন্যদের হাতে মঙ্গলবার জেনিনে ছয় ফিলিস্তিনি নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে একজন দুই ইসরায়েলিকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে একজনের বয়স ৪৯ এবং বাকিরা ২০ বছর বয়সী। এ ছাড়া মঙ্গলবারের অভিযানে আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর। অন্যদিকে সেনাবাহিনী তাদের দুই সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে। জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে একজন আবদেল-ফাতাহ হুসেন খরুশাহ (৪৯)। তাকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী হামাসের একজন ‘সন্ত্রাসী অপারেটিভ’ বলে অভিহিত করেছিল এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি ফিলিস্তিনি শহর হুওয়ারাতে দুই ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীকে হত্যার জন্য অভিযুক্ত করেছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি সৈন্যরা ক্যাম্পে প্রবেশ করে একটি বাড়ি ঘেরাও করে। এ সময় ফিলিস্তিনিদের একটি দল পাল্টা লড়াই শুরু করে। সৈন্যদের দিকে ‘বিস্ফোরক যন্ত্র এবং ব্লক’ নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে সেনাবাহিনী জানিয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপির একজন চিত্রগ্রাহক ভবন থেকে ঘন ধোঁয়া উঠতে দেখার কথা জানিয়েছেন। শরণার্থীশিবিরের জেনিন ব্রিগেড গোষ্ঠী তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে বলেছে, তাদের বন্দুকধারীরা ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে ‘হিংসাত্মক সংঘর্ষে’ জড়িয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, হামাস নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল থেকে রকেট ছোড়ার পর গাজা উপত্যকা থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে একটি ছোট ইসরায়েলি শহর নির আমে মঙ্গলবার রাতে সাইরেন বেজে ওঠে। সেনাবাহিনী এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলেছে, ‘একটি রকেট উৎক্ষেপণ শনাক্ত করা হয়েছে, যা গাজা উপত্যকার ভেতরে বিস্ফোরিত হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।’
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু একটি ভিডিও বার্তায় খরুশাহকে উল্লেখ করে বলেছেন, সৈন্যরা ‘ঘৃণ্য সন্ত্রাসীকে নির্মূল করেছে। আমাদের সাহসী সৈন্যরা অভিযানে নিখুঁতভাবে খুনিদের আস্তানায় কাজ করেছে।’ এ ছাড়া যে ইসরায়েলিদের ক্ষতি করবে তাকেই মূল্য দিতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন নেতানিয়াহু। ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র আবু রুদেইনেহ বলেছেন, ‘এই বিপজ্জনক পরিস্থিতির জন্য ইসরায়েল দায়ী। পরিস্থিতিকে উত্তেজিত করার এবং স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে সব প্রচেষ্টা ধ্বংস করার হুমকি এটি।’