দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : তেহরান যদি পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি চালিয়ে যেতে চায়, তাহলে পশ্চিমারা ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করা থেকে আটকাতে পারবে না। ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি রবিবার এ কথা বলেছেন। দেশটির উন্নত পারমাণবিক কার্যকলাপ নিয়ে উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যে তিনি এ মন্তব্য করলেন। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম অনুসারে, খামেনি বলেছেন, ‘তেহরানের পারমাণবিক অস্ত্র সম্পর্কে কথাবার্তা মিথ্যা এবং তারা (পশ্চিম) এটা জানে।
আমরা আমাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের ভিত্তিতে পারমাণবিক অস্ত্র চাই না। অন্যথায় তারা এটি বন্ধ করতে পারত না।’
কয়েক বছর ধরে ইরানের সরকারি অবস্থানের প্রতিধ্বনি করে খামেনি বলেন, ইসলামী প্রজাতন্ত্র কখনোই পারমাণবিক বোমা তৈরি করতে চায়নি। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম খামেনিকে উদ্ধৃত করে বলেছে, তেহরানের বিতর্কিত পারমাণবিক কাজের বিষয়ে পশ্চিমাদের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব, যদি দেশের পারমাণবিক অবকাঠামো অক্ষত থাকে।
খামেনি বলেছেন, ‘চুক্তিতে (পশ্চিমের সঙ্গে) কোনো ভুল নেই, তবে আমাদের পারমাণবিক শিল্পের অবকাঠামোকে স্পর্শ করা উচিত হবে না।’ সুরক্ষা কাঠামোর অধীনে জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থার সঙ্গে তেহরানের কাজ চালিয়ে যাওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এদিকে ছয়টি বড় শক্তির সঙ্গে ইরানের ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করতে তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা সেপ্টেম্বর থেকে অচলাবস্থায় রয়েছে। উভয় পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে অযৌক্তিক দাবি করার অভিযোগ এনেছে।
২০১৮ তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চুক্তিটি বাতিল করেন। তার প্রতিক্রিয়ায় ২০১৯ সাল থেকে ইরান চুক্তির শর্তাবলি লঙ্ঘন শুরু করে। ২০১৫ সালের চুক্তিটি ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যকলাপকে সীমিত করেছিল, যাতে তেহরানের জন্য পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করা কঠিন হয়ে পড়ে। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিনিময়ে চুক্তিটি হয়েছিল। তবে ইরান পরমাণু অস্ত্র অর্জনের কথা অস্বীকার করেছে।