দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বাসভবন ঘিরে রেখেছে পুলিশ। ইসলামাবাদ পুলিশ তোশাখানা মামলায় তাকে গ্রেপ্তারের জন্য তার বাসভবনে অবস্থান করছে বলে জানা গেছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, পুলিশের একটি দল লাহোরে পাকিস্তানের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বাসভবন ঘিরে রেখেছে। পুলিশ কনটেইনার স্থাপন করে ইমরানের বাড়ির দিকে যাওয়ার সমস্ত রাস্তা অবরোধ করে রেখেছে। দাঙ্গা প্রতিরোধক কর্মীরা অভিযান শুরু করার জন্য অবস্থান নিয়েছে বলেও জানা গেছে। এদিকে ইমরান খানের বাসভবনের বাইরে বিপুল সংখ্যক পিটিআই কর্মী অবস্থান করছে পুলিশের পদক্ষেপকে প্রতিহত করতে। ইমরান খানের গ্রেপ্তার ঠেকাতে দলে দলে জড়ো হচ্ছে দলটির কর্মীরা।
পিটিআইয়ের সিনিয়র নেতা ফারুখ হাবিব সাংবাদিকদের বলেন, “ইমরান খান ভুয়া মামলায় পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন না।” হাবিব বলেন, “একজন নারী বিচারককে হুমকি দেওয়ার মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আজ স্থগিত করেছে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। এখন দেখা যাক, পুলিশ তাদের সঙ্গে নতুন কী ওয়ারেন্ট নিয়ে এসেছে।”
ইসলামাবাদ পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, তোশাখানা মামলায় ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করতে তার দল এখানে এসেছে। এদিকে পুলিশ ও পিটিআই কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ আসন্ন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইমরানের বাসভবনের চারপাশে সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলেও জানা গেছে।
এর আগে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল দেশটির আদালত। সোমবার ইসলামাবাদের জেলা ও সেশন কোর্টের বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী ২৯ মার্চের মধ্যে ইমরানকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করতে হবে। এক নারী ম্যাজিস্ট্রেটকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গত বছর আগস্ট মাসে জনসভা থেকে এক নারী ম্যাজিস্ট্রেটকে হুমকি দিয়েছিলেন ইমরান। শুধু তা-ই নয়, পুলিশ ও বিচার ব্যবস্থাকে পক্ষপাতদুষ্ট বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। এরপরই পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর হয়। তখনো আদালত তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এবার জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারি হলো ইমরানের বিরুদ্ধে। গত বছর আদালতে হাজির হয়ে বিচারপতির কাছে ক্ষমাও চেয়েছিলেন তিনি।
ইতিমধ্যে ইমরান খানের বিরুদ্ধে ৮০টি মামলা রয়েছে পাকিস্তান জুড়ে। ফলে যেকোনো মুহূর্তে তাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে বলে আশঙ্কায় আছে পাকিস্তান তেহরিক-ইনসাফের সমর্থকরা। ইমরান খানের বাড়ির বাইরে পুলিশ ও ইমরান খান সমর্থকদের।