আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আজারবাইজান-আর্মেনিয়া দুটি দেশ এখন পর্যন্ত দুইবার যুদ্ধে জড়িয়েছে। পাশাপাশি তিন দশক ধরে নিয়মিত বিরতিতে ছোটখাটো সংঘর্ষে জড়িয়েছেন দুই দেশের সেনারা। প্রতিবেশী দুটি দেশ এখন পর্যন্ত দুইবার পুরোদমে যুদ্ধে জড়িয়েছে। পাশাপাশি তিন দশক ধরে নিয়মিত বিরতিতে ছোটখাটো সংঘর্ষে জড়িয়েছেন দুই দেশের সেনারা।
আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে সীমান্তে চলতি সপ্তাহের সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ২১০ জন ছাড়িয়ে গেছে। গত বৃহস্পতিবার দুই দেশের পক্ষ থেকে এই হালনাগাদ তথ্য জানানো হয়েছে। (খবর এএফপি’র)
গত মঙ্গলবার এই লড়াই শুরু হয়। সংঘাতে উসকানির জন্য পরস্পরকে দায়ী করেছে দুই পক্ষ। শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে বৃহস্পতিবার এই সংঘাত বন্ধ হয়। গতকাল শুক্রবার নিজেদের নিহত সেনার সংখ্যা ৭১ থেকে বেড়ে ৭৭ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানায় আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান বলেছেন- এখন পর্যন্ত আর্মেনিয়ার নিহত সেনার সংখ্যা ১৩৫ জন। তবে তিনি মন্ত্রিসভাকে বলেন- দুর্ভাগ্যজনকভাবে এটাই চূড়ান্ত সংখ্যা নয়। আরও অনেকে আহত হয়েছেন।
আর্মেনিয়ার মানবাধিকারবিষয়ক ন্যায়পাল ক্রিস্টিনা গ্রিগরিয়ান পরে জানান- আজেরি বাহিনীর গোলাবর্ষণে একজন বেসামরিক নাগরিকও নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ছয়জন।
আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার সেনাদের মধ্যে নিয়মিত বিরতিতে সীমান্তে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। এরপর সীমান্ত সংঘাতের জের ধরে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে আবার পুরোদমে যুদ্ধে জড়ায় দেশ দুটি। ছয় সপ্তাহের লড়াইয়ে নিহত হন প্রায় ৬ হাজার ৫০০ মানুষ। পরে রাশিয়ার মধ্যস্থতায় চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধের সমাপ্তি হয়।
এ লড়াইয়ে নিজ ভূখণ্ড উদ্ধার করে আজারবাইজান। তবে চুক্তিতে নাগোর্নো-কারাবাখের ‘স্ট্যাটাস’ অনিষ্পন্ন ছিল। আলোচনার মাধ্যমে সেটি নির্ধারণ করার কথা বলা হয় চুক্তিতে। মস্কো সেখানে দুই হাজার শান্তিরক্ষী মোতায়েন করে। কিন্তু শান্তিপ্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে আর্মেনিয়া গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ আজারবাইজানের।