দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : সৌদি আরবের যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আবদুল আজিজ ২০২৩ সালে সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ইসা ইউসেফ ইসা আল দুহাইলান শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা জানান। বৈঠকে আমন্ত্রণ গ্রহণের একটি স্বীকৃতিপত্র প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন রাষ্ট্রদূত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে এ সফরে সম্মতি দিয়েছেন ক্রাউন প্রিন্স সালমান। খবর বাসসের।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। রাষ্ট্রদূত বলেন, ১৯৮৫ সালে সৌদি যুবরাজ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজের ঢাকা সফরের পর এটিই হবে কোনো ক্রাউন প্রিন্সের প্রথম বাংলাদেশ সফর। এ সফর উভয় দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে সফরের সময়সূচি নির্ধারণ করা হবে। সফরের সময় বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক এবং চুক্তি স্বাক্ষর হবে, যা দুই দেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করবে বলে রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সৌদি যুবরাজের সফরের মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র সম্প্রসারিত হবে। তিনি বাংলাদেশে তেল শোধনাগার স্থাপন, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং হালাল খাদ্য শিল্পসহ বিভিন্ন খাতে আরও সৌদি বিনিয়োগের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সৌদি উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ করে মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং দেশের দক্ষিণাঞ্চলে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য জমি বরাদ্দ করতে প্রস্তুত।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশি ও সৌদি বিনিয়োগকারীদের যৌথ উদ্যোগে সৌদি আরবে সার কারখানা স্থাপনের প্রস্তাব করেন। তিনি বিলম্বিত পেমেন্ট শিডিউলের মাধ্যমে বাংলাদেশকে অশোধিত ও পরিশোধিত তেল কেনার সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করেন। জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, সৌদি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের মেগা প্রকল্পে অংশ নিতে আগ্রহী। তিনি আশ্বস্ত করেন, সৌদি আরব আন্তর্জাতিক ফোরামে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থানকে সমর্থন করবে। অ্যাম্বাসাডর অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এ সময় উপস্থিত ছিলেন।