আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বীরত্ব ও সাহসিকতার সঙ্গে রাশিয়ার বিরুদ্ধে দেশ রক্ষার ডাক দিয়ে বিশ্বজুড়ে প্রশংসা কুড়িয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এমন বীরত্বপূর্ণ ও সাহসী মনোভাবের কারণে জেলেনস্কিকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মানে ভূষিত করতে চায় চেক প্রজাতন্ত্র। গতকাল সোমবার চেক প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট মিলোস জেমান এ কথা জানান।
মিলোস জেমান ২০১৩ সালে চেক প্রজাতন্ত্রে ক্ষমতায় আসেন। আগে থেকেই তিনি মস্কোপন্থী হিসেবে পরিচিত। তবে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া যখন ইউক্রেনে হামলা শুরু করে, তখন তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ‘পাগল’ বলে মন্তব্য করে আলোচনায় আসেন।
স্থানীয় সময় সোমবার রাজধানী প্রাগে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ নেন প্রেসিডেন্ট মিলোস।
করোনা মহামারির কারণে দুই বছর ধরে এ আয়োজন স্থগিত ছিল। এবারের আয়োজনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনকে সমর্থন দেওয়ার কথা প্রকাশ্যে জানান।
প্রেসিডেন্ট মিলোস বলেন- আমি একজন সাংসদের সঙ্গে আলাপ করেছি, চেক প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মানের জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নাম প্রস্তাব করুন। এমন প্রস্তাবে আমি অবশ্যই সম্মতি দেব।
এ সময় জেলেনস্কির সম্পর্কে মিলোস জেমান বলেন- যুদ্ধ শুরুর পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট চরম বীরত্ব ও সাহসের পরিচয় দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র তাঁকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে চেয়েছিল কিন্তু তিনি রাজধানীতে (কিয়েভে) রয়ে গেছেন। দেশ ছাড়েননি। সেখান থেকে তিনি বীরত্বের সঙ্গে রুশ বাহিনীকে মোকাবিলায় কাজ করছেন।
প্রেসিডেন্ট মিলোসের মুখপাত্রের বরাতে চেক প্রজাতন্ত্রের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে- চলতি বছরের অক্টোবরের শেষ নাগাদ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মানে ভূষিত করতে পারে চেক প্রজাতন্ত্র। প্রতিবছর ওই সময়ই আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজনে চেক প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান দেওয়া হয়। তবে মহামারির কারণে দুই বছরের স্থগিত হওয়া আয়োজন এবার মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে।