দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক: আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্দা উঠবে আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের। যেখানে উদ্বোধনী ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড। শারজায় বিকাল ৪টায় শুরু হবে দু’দলের লড়াই।
দিনের অপর ম্যাচে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। বিশ্বকাপের এবারের আসরের আয়োজক ছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু নিরাপত্তার কারণে শেষ পর্যন্ত আরব আমিরাতে আসর আয়োজন করছে আইসিসি। যেখানে প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জয় দিয়ে আসর শুরুর আশা নিগার-জাহানারাদের। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে সবশেষ চার ম্যাচেই জয় পেয়েছে বাংলাদেশের নারীরা। সবশেষ প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে বড় জয়ে আত্মবিশ্বাসী তারা।
৫ অক্টোবর নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে শক্তিশালী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ নারী দল। এবারের বিশ্বকাপের আগে মেয়েদের ক্রিকেট উন্নয়নে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি। ক্রিকেটে ছেলে ও মেয়েদর প্রাইজমানি বৈষম্য দূর করতে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিশ্বকাপে ছেলেদের সমান অর্থ পুরস্কার দেওয়া হবে নারী চ্যাম্পিয়ন দলকেও। গত জুলাইয়ে আইসিসির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
মেয়েদের গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের তুলনায় এবার মোট প্রাইজমানি তিন গুণেরও বেশি বাড়িয়ে ৭.৯৫ মিলিয়ান মার্কিন ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের তাপমাত্রা কিছুটা সহনীয় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। অক্টোবর থেকে দেশটিতে শীতকাল ধরা হয়ে থাকে। দিনের গড় তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। মরুর দেশ হওয়াতে আবহাওয়া অনেকটা শুষ্ক থাকবে।
প্রথমবার ছেলেদের টি-২০ বিশ্বকাপ শুরু হয়েছিল ২০০৭ সালে। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে মেয়েদের ক্রিকেটকেও প্রসারিত করতে উদ্যোগ নেয় আইসিসি। ছেলের বিশ্বকাপের দু’বছর পর চালু হয় মেয়েদের টি-২০ বিশ্বকাপ।
এ পর্যন্ত হওয়া আটটি আসরের পাঁচটিতে খেলেছে বাংলাদেশ। প্রতিবারই প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নিতে হয়েছে। টি-২০ বিশ্বকাপে ২১ ম্যাচ খেলে জয় মাত্র দু’টিতে।
ছেলেদের ওয়ানডে বিশ্বকাপের মতো মেয়েদের টি-২০ বিশ্বকাপে দাপট অস্ট্রেলিয়ার মেয়েদের। আটবারের মধ্যে ছয়বারই ট্রফি জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। একবার করে শিরোপা জিতেছে ইংল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মেয়েরা।