দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : নিউজিল্যান্ডে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে এ নিয়ে তৃতীয়বার জরুরি অবস্থা জারি করা হলো। ২০১৯ সালের ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে জঙ্গি হামলা এবং ২০২০ সালে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর দেশটিতে এমন জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছিল।
নিউজিল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় ‘গ্যাব্রিয়েল’। ঘূর্ণিঝড় গ্যাব্রিয়েলের প্রভাবে নিউজিল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভারী বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে শত শত ফ্লাইট বাতিল করা করেছে কতৃপক্ষ। দমকা হওয়া, প্রবল বর্ষণ ও জলোচ্ছ্বাস শুরু হয়েছে। কিছু এলাকায় ভূমিধ্বসে বাড়িঘর ভেসে গেছে এবং রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে। মোবাইল ফোন পরিষেবাও বন্ধ আছে কিছু এলাকায়। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ক্রিস হিপকিন্স সাংবাদিকদের বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডের উত্তর দ্বীপে অনেক পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে, অনেক বাড়িঘর বিদ্যুৎহীন হয়েছে, দেশজুড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।’
স্থানীয় সময় আজ (মঙ্গলবার) নিউজিল্যান্ডের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী কিরেন ম্যাকআন্টলি জরুরি অবস্থা জারি করেন। ম্যাকআন্টলি বলেন, ‘এটি ভয়ংকর প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এ ঝড়ে বেশিরভাগ প্রভাব পড়ছে পূর্ব আইল্যান্ডে।’ তিনি আরো বলেন, আজ মঙ্গলবারও পুরো দেশে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া অব্যাহত থাকবে। ফলে জরুরি পরিষেবা সংস্থাগুলোর সেবায় বিঘ্ন ঘটতে পারে।
নিউজিল্যান্ডের আবহাওয়া সংস্থা মেটসার্ভিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় হক বে অঞ্চলে ১০০ থেকে ২৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় গ্যাব্রিয়েল নিউজিল্যান্ডের উত্তরে আঘাত হানার পরে, অকল্যান্ড এবং আশেপাশের অঞ্চলে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত ও বন্যা হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পরে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া পূর্ব অকল্যান্ডে একটি বাড়ি ধসে পড়ে একজন ফায়ারকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। অপর এক কর্মী নিখোঁজ আছেন বলে জানান। সাইক্লোনে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় প্রধানমন্ত্রী ক্রিস হিপকিন্স সোমবার সাড়ে ১১ মিলিয়ন নিউজিল্যান্ড ডলারের প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন।