দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ যা বলছে তা তথ্যভিত্তিক নয়। তাদের আরও বেশি পরখ করে এ ব্যাপারে রিপোর্ট করা উচিত। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের আটকিয়ে কোন ধরনের টাকা-পয়সাও নেওয়া হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরের রাজধানীতে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী দাবি করেন, তারা ইচ্ছামতো প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। যা সত্যি নয়, তা তারা আরো রঙ-ঢঙ দিয়ে প্রচার করছে। তারা কিভাবে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে, প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে তা সাংবাদিকরা ভালো জানেন। প্রধানমন্ত্রী কোনো রাজনৈতিক দলকে বাধা দেননি, তাদের রাজনৈতিক মতাদর্শ প্রচার করার জন্য, তাদের মিটিং সমাবেশ করার জন্য। সরকার সেভাবেই বিষয়টি দেখভাল করছে।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলা একাডেমিতে আলোচনা সভায় বক্তব্য শেষে মন্ত্রী আরও বলেন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদন আমি দেখিনি। তবে আমি সব সময় বলেছি, রোহিঙ্গা ক্যাম্প আমাদের জন্য বিষফোঁড়া হবে এক সময়। কারণ এ রোহিঙ্গারা তাদের সবকিছু ফেলে এখানে এসেছে। তারা যেকোন সময় যেকোন প্রয়োজনে, প্রলোভনে প্রলুব্ধ হয়ে যেকোনো চ্যালেঞ্জ একসেপ্ট করতে পারে। রোহিঙ্গারা তাদের ক্যাম্পের ভেতরে ইয়াবার ব্যবসা করে, নিজেরা নিজেরা গোলাগুলি করছে, প্রতিদিন তারা মারামারি করছে। তমব্রু নামক রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তারা ডিজিএফআই-এর এক কর্মকর্তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। গতকালকেও আপনারা দেখেছেন সেখানে গোলাগলি হয়েছে। বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে।
রোহিঙ্গারা বিভিন্ন গ্রুপ গ্রুপে বিভক্ত হয়ে অপরাধ সংঘটিত করছে। আমরা তাদের জন্য নিরাপত্তার স্বার্থে কাঁটাতারের বেষ্টনি দিয়েছিলাম, সেগুলো তারা সরিয়ে ফেলে, কেটে ফেলে বের হয়ে মিয়ানমারে যাচ্ছে ইয়াবা আনছে। সেখানে থানা পুলিশ, এপিবিএন সেখানে আছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের উচিত আরও দেখে এসে রিপোর্ট করা।
সাংবাদিকদের অপর প্রশ্ন তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জনগণকে নিয়েই চলেন। আমাদের সংসদে বিরোধীদল আছে। তারা কখনো বিরোধীদলকে হয়রানি করা হচ্ছে এরকম কোন প্রশ্ন কখনো তোলেননি। যে সমস্ত দল যখনই মিটিং করতে যাচ্ছে সমাবেশ করতে চাচ্ছে, তাদের সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার যিনি আছেন তিনি পারমিশন দিচ্ছেন। আমরা শুধু বলছি যে জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি করতে পারবেন না, রাস্তাঘাট বন্ধ করতে পারবেন না, ভাঙচুর করতে পারবেন না। জনগণের দুর্ভোগ যাতে না হয় সে ধরনের কর্মসূচি আপনারা করতে পারবেন।