দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডা. বার্ধন জং রানা। আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে নগর ভবনে ডিএনসিসি মেয়রের কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আমরা সারা বছর জুড়ে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। এডিস মশার প্রজনন স্থান খুঁজে বের করে ধ্বংস করছি। ড্রোন ব্যবহার করে ছাদে পানি জমে আছে কি না বা মশার প্রজননক্ষেত্র আছে কি না দেখেছি এবং ছাদবাগানের তালিকা প্রণয়ন করা করেছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘সঠিকভাবে ছাদবাগান করার বিষয়ে প্রশিক্ষণও প্রদান করেছি। ড্রেন, খাল ও লেক দূষণমুক্ত করতে পয়োবর্জ্যের অবৈধ সংযোগ বন্ধে অভিযান পরিচালনা করছি। সর্বোপরি জনসচেতনতা খুব জরুরি। এটি নিয়ে আমরা কাজ করছি। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ও জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতা আহ্বান করছি।’
এ সময় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসির গৃহীত কার্যক্রমের প্রশংসা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডা. বার্ধন জং রানা বলেন, নগরের জনগণের স্বাস্থ্য, বিশেষ করে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা খুবই আন্তরিক। ডিএনসিসির আওতাধীন এলাকায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এবং এ বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কাজ করতে আগ্রহী। বিশেষ করে মশার প্রজননক্ষেত্র ধ্বংস করতে ডিএনসিসিকে সহযোগিতা প্রদান করবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসি মেয়রের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সম্ভাব্য পদক্ষেপ ও সহযোগিতার বিষয়ে তিনিও আলোচনায় অংশ নেন। বৈঠকে ডেঙ্গু এবং এর বাহক মশা নিয়ন্ত্রণে জনগণকে সচেতন এবং সম্পৃক্ত করার জন্য একটি বই রচনা এবং বিনা মূল্যে নগরবাসীর মধ্যে বিতরণের বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একমত পোষণ করে। নগর ভবনে বৈঠকের শুরুতে ডা. বার্ধন জং রানাকে শুভেচ্ছা জানান ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। বৈঠক শেষে অতিথির হাতে সম্মাননা স্মারক ও উপহারসামগ্রী তুলে দেন তিনি।
বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান এবং প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) বাংলাদেশের মেডিক্যাল অফিসার ড. অনুপমা হাজারিকানা, সংস্থাটির ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিশিয়াল ডা. সাবেরা সুলতানা প্রমুখ।