দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন স্থানীয় সময় শুক্রবার সামরিক প্রধানদের সঙ্গে দেখা করেছেন। ওই দিনই তার বাহিনী ইউক্রেনের অবকাঠামোতে বৃহত্তম ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। বিবিসি জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শুক্রবার বেশিরভাগ সময় ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’-এর পরবর্তী পদক্ষেপ কী হওয়া উচিত, তা নিয়ে আলোচনা করেছেন। আগে থেকেই ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা দাবি করে আসছেন, নতুন করে আক্রমণ চালানোর পরিকল্পনা করছে রাশিয়া; সম্ভবত তারা সামনের বছরের শুরুতেই আক্রমণে আসতে পারে।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের এ ধরনের আশঙ্কার মধ্যেই সামরিক জেনারেলদের সঙ্গে পরামর্শ করলেন পুতিন। রয়টার্স জানিয়েছে, পুতিনের বৈঠকের ভিডিও শনিবার ক্রেমলিন প্রকাশ করেছে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, একটি গোল টেবিলে পুতিনের চারপাশে ডজনখানেক কর্মকর্তা রয়েছেন। তাদের মধ্যে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু এবং চিফ অব জেনারেল স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমোভও ছিলেন। পুতিনকে এরপর জয়েন্ট টাস্ক ফোর্সের হেড কোয়ার্টারে অন্য একটি কনফারেন্স টেবিলে দেখা যায়। সেখানে তিনি সামরিক বাহিনীর কম্যান্ডারদের যুদ্ধ বিষয়ে পরামর্শ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন।
পুতিন বলেছেন, কীভাবে অভিযান পরিচালনা করা যায়, তার প্রতিটি দিক নিয়ে আমরা কম্যান্ডারদের মতামত শুনবো। সেই সঙ্গে আমাদের তাৎক্ষণিক ও মধ্যমেয়াদী ব্যবস্থাগুলো কী হবে, তা নিয়েও আপনাদের প্রস্তাব শুনতে চাই। চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে আক্রমণ করে আসছে রাশিয়া। শুরুতে রুশ বাহিনী সর্বাত্মক আক্রমণের মাধ্যমে ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে দ্রুত অগ্রসর হয়ে দেশটির প্রায় এক-পঞ্চমাংশের দখল নিয়ে নেয়। গত কয়েক মাসে রাশিয়াকে কয়েকটি অঞ্চলে হেরে গিয়ে পিছু হটতে হয়েছে।
বর্তমানে ইউক্রেনে অবস্থান করা রুশ পদাতিক বাহিনী আক্রমণের পরিবর্তে রক্ষণাত্মক কৌশলে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। নতুন কৌশল হিসেবে রাশিয়া আকাশ পথে হামলা বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি অবকাঠামোগুলোতে তীব্র ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। হামলার ফলে ইউক্রেনের লাখ লাখ বেসামরিক মানুষ সেখানকার চরম শীতে হিমাঙ্কের নিচের তাপমাত্রায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় দিনের পর দিন পার করছে। বিদ্যুৎ না থাকায় পানি সংকটও দেখা দিয়েছে সেখানে।