দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : চলতি ডিসেম্বরের চতুর্থ সপ্তাহে যেকোনো দিন উদ্বোধন করা হবে এমআরটি লাইন-৬ এর দিয়াবাড়ী থেকে আগারগাঁও অংশে মেট্রোরেল চলাচল। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক। সোমবার (১২ ডিসেম্বর) দিয়াবাড়ীতে মেট্রোরেল প্রদর্শনী সেন্টারে মিডিয়া ট্যুরে এ তথ্য জানান ডিএমটিসিএলের এমডি।
এম এ এন ছিদ্দিক জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেল উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে সময় চাওয়া হয়েছে। তিনি সময় দিলে যেকোনো দিন উদ্বোধন করা হবে স্বপ্নের এই প্রকল্প। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে উদ্বোধনের চূড়ান্ত দিনক্ষণ এখনও পাওয়া যায়নি। তবে, এ মাসেই উদ্বোধন করা হবে। তিনি আরও জানান, শুরুতে সীমিত পরিসরে মেট্রোরেল চলবে। প্রতি ট্রেনে যাত্রী থাকবে ধারণক্ষমতার চেয়ে কম। ট্রেনের সংখ্যাও থাকবে কম। প্রতিটি স্টেশনে বেশি সময় ধরে ট্রেন থামবে। তিন মাস পর থেকে পূর্ণ সক্ষমতায় ট্রেন চলবে।
গত সেপ্টেম্বরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছিলেন, ডিসেম্বরে আমাদের বিজয়ের মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই এমআরটি লাইন-৬ এ মেট্রোরেল চলাচলের উদ্বোধন করবেন। এমআরটি লাইন-৬ এ মেট্রোরেলে প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া ৫ টাকা। সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ভাড়া হবে ১০০ টাকা।
প্রসঙ্গত, উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০.১০ কিলোমিটার মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ চলমান। চলতি মাসের শেষের দিকে মেট্রোরেল চালুর কথা জানালেও শুরুতে শুধু উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশে মেট্রোরেল চলবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ২০২৪ সালের জুনে মেট্রোরেল প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। প্রথম দিকে মেট্রোরেল প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। মেট্রোরেলের পথ সম্প্রসারণ, স্টেশন প্লাজা নির্মাণ, কিছু স্টেশনে নতুন করে জমি অধিগ্রহণ, পরামর্শকের পেছনে ব্যয় বৃদ্ধি, পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ও বাড়তি ভ্যাটসহ বিভিন্ন উপকরণ যুক্ত হয়েছে। এজন্য প্রায় সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয় বেড়েছে। বর্তমানে ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। এ প্রকল্পে অর্থায়ন করছে জাপানের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা জাইকা। তারা ১৯ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা দিচ্ছে। সরকার খরচ করছে ১৩ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা।