1. bazmedialink7@gmail.com : Baz Alam : Baz Alam
  2. mdkaif01133@gmail.com : md :
  3. talhanrcc2014@gmail.com : Talha : MD TALHA
  4. deshbidesh2022@gmail.com : Tuhin Ahmed : Tuhin Ahmed
গণতন্ত্রের মানসপুত্র সোহরাওয়ার্দীর ৫৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ - DeshBideshNews
November 28, 2024, 5:55 pm
 

গণতন্ত্রের মানসপুত্র সোহরাওয়ার্দীর ৫৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

  • Update Time : Monday, December 5, 2022
  • 78 Time View
গণতন্ত্রের মানসপুত্র সোহরাওয়ার্দীর ৫৯তম মৃত্যুবার্ষিকী

দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী ছিলেন একজন পূর্ব পাকিস্তানি বাঙালি রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী, যুক্তফ্রন্ট গঠনের মূলনেতাদের মধ্যে অন্যতম। গণতান্ত্রিক রীতি ও জনমতের প্রতি এই নেতাকে বলা হয় ‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র’।

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। বরেণ্য এ নেতা ১৯৬৩ সালের ৫ ডিসেম্বর লেবাননের বৈরুতে একটি হোটেল কক্ষে মারা যান। তার সমাধি ঢাকার হাইকোর্টের পাশে তিন নেতার মাজারে। তিনি ছিলেন একজন উদার ও প্রাজ্ঞ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রীসহ তত্কালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। তার মৃত্যুবার্ষিকীতে আজ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করছে।

সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দেওয়া বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা ও মানুষের কল্যাণে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জীবন ও আদর্শ আমাদের সব সময় সাহস ও প্রেরণা জোগায়। জাতি এই মহান নেতার অবদান সব সময় শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। একজন প্রতিভাবান রাজনৈতিক সংগঠক হিসেবে তার দক্ষ পরিচালনায় গণমানুষের সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আরো বিকশিত হয়। তার সুযোগ্য উত্তরসূরি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্ব পাকিস্তান সরকারের দমনপীড়নের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে।’

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে এ দেশের শান্তিপ্রিয় গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকে তিনি মুসলিম লীগ সরকারের একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ভূমিকা পালন করেন। তার প্রচেষ্টায় পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান প্রণীত হয়। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পর বাঙালির যে জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষ ঘটেছিলো, তার নেতৃত্বও দিয়েছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। তার রাজনৈতিক দূরদর্শিতার ফল ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট অবিস্মরণীয় বিজয় লাভ করে।

বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৮৯২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর তার জন্ম। তিনি ছিলেন বিচারপতি স্যার জাহিদ সোহরাওয়ার্দীর কনিষ্ঠ সন্তান। কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষাজীবন শুরু করার পর যোগ দেন কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে। পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবি ভাষা এবং সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি বিজ্ঞান বিষয়ে সম্মানসহ স্নাতক অর্জন করেন। এছাড়া সেখানে তিনি আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেন। ১৯১৮ সালে বার এট ল ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯২১ সালে কলকাতায় ফিরে এসে আইন পেশায় নিয়োজিত হন। ১৯২০ সালে তিনি বেগম নেয়াজ ফাতেমাকে বিয়ে করেন। নেয়াজ ফাতেমা ছিলেন তত্কালীন ব্রিটিশ ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্যার আবদুর রহিমের কন্যা।

শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ