দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : বিশ্বকাপে বেঁচে থাকল জার্মানির স্বপ্ন। ২০১০ বিশ্বকাপ প্রায় ফিরিয়েই এনেছিল স্পেন। জার্মানির বিপক্ষে বিশ্বকাপ মঞ্চে শেষ মুখোমুখিতে স্পেন জিতেছিল ১-০ গোলে। নকআউট পর্বে সেমিফাইনালের লড়াইয়ে স্পেন সেবার কার্লস পুওলের একমাত্র গোলে গিয়েছিল ফাইনালে। পরবর্তীতে জিতে নেয় বিশ্বকাপ। এবার জার্মানির বিপক্ষে গ্রুপ পর্বেই তাদের দেখা। ম্যাচটা নিঃসন্দেহে হাইভোল্টেজ। কিন্তু এই ম্যাচের উন্মাদনা আরো বেড়ে যায় জার্মানির বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ হারে। স্পেন আজ জিতলেই প্রি কোয়ার্টারে। জার্মানি বিশ্বকাপ থেকে বিদায়। এমন সমীকরণে দুই দলের লড়াইয়ে তেজ থাকলেও জিততে পারেনি কেউ।
প্রথমার্ধে গোলশূন্য ড্র থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে গোল করে স্পেন এগিয়ে যায়। যেমনটা হয়েছিল ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায়। পুওলের গোলে ম্যাচের ৭৩ মিনিটে স্পেন এগিয়ে যায়। বাকি সময়ে জার্মানি আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। এবার পুওলের জায়গায় গোল করেন আলভারো মোরাতা। ৫৬ মিনিটে সতীর্থ তোরোসের পরিবর্তে মাঠে নামেন মোরাতা। মিনিট ছয়ের মধ্যেই নিজের ছাপ রাখেন সবুজের গালিচায়। আল বায়িত স্টেডিয়ামের ভরা গ্যালারি উন্মাদনায় মাতিয়ে তোলেন এই ফরোয়ার্ড। বামপ্রান্ত থেকে জর্দি আলভার ক্রস থেকে ডি বক্সের ভেতরে আলতো টোকায় বল জার্মানির জালে পাঠান। নুয়্যার জায়গায় দাঁড়িয়ে হাত মেলে ধরেছিলেন। কিন্তু বলের নাগাল পাননি।
১২ বছর আগে জার্মানি গোল শোধ দেওয়ার খেলোয়াড় পায়নি। এবার পেয়েছে। ম্যাচের ৭০ মিনিটে থমাস মুলারকে তুলে নেন কোচ হানসি ফ্লিক। মাঠে নামান নিকলাস ফুলক্রুগকে। তিন মিনিটেই গোল করে এই ফরোয়ার্ড জার্মানির বিশ্বকাপের যাত্রা টিকিয়ে রেখেছেন।
শেষ পর্যন্ত দুই দলের লড়াই ১-১ গোলে সমতায় শেষ হয়। পয়েন্ট ভাগাভাগি করে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। কোস্টারিকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে বিশ্বকাপ শুরু করা স্পেন দ্বিতীয় ম্যাচে ড্র করলো। জাপানের কাছে হেরে বিশ্বকাপ শুরু করা জার্মানি পেল প্রথম পয়েন্ট।
শেষ ম্যাচ জিতলে এবং স্পেন জাপানের ম্যাচের ফলাফলের ওপর নির্ভর করে তাদের প্রি কোয়ার্টারে খেলা। আপাতত এই ড্র উপভোগ করেই সময় কাটাতে হবে নুয়্যারদের। উত্তেজনায় ভরপুর ম্যাচের প্রথমার্ধে গোলের সবচেয়ে বড় সুযোগটি পেয়ে লক্ষ্যভেদ করেছিলেন জার্মানির রুডিগার। কিমিখের ফ্রিকিক থেকে মাথা ছুঁইয়ে গোল করেছিলেন রুডিগার। কিন্তু সামান্যতম অফসাইডে বাতিল করা হয় তার গোল। দুই দলের খেলায় ফিনিশিংয়ের অভাব টের পাওয়া গেছে। মাঝ মাঠে গোছানো ফুটবল থাকলেও শেষটা ভালো হচ্ছিল না। এজন্য গোলও হয়নি। অবশ্য ডিফেন্ডারদের কৃতিত্বও দিতে হবে। যেভাবে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে একের পর এক আক্রমণ তারা রুখে দিয়েছেন তাতে বোঝাই যাচ্ছিল কেউ কাউকে এক চুল পরিমাণও ছাড় দেবে না।