দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : বরিশালে বিএনপির সমাবেশে যাওয়ার পথে ইশরাক হোসেনের গাড়ি বহরে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় কয়েক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এদিকে মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতকেও বরিশালে যেতে দেওয়া হয়নি। গৌরনদী থেকে তার গাড়ি ঢাকার দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

একই স্থানে কেন্দ্রীয় কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম রিজু এবং সহ-সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুলের গাড়িবহরে হামলা ও বাঁধার ঘটনা ঘটে। পাশাপাশি ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেত্রী সেলিনা সুলতানা নিশিতাকে বহনকারী গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। শনিবার (৫ নভেম্বর) সকালে এসব ঘটনা ঘটে।

হামলায় আহতরা হলেন- ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির ৩৮ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক সহিদুল হক সহিদ, ৩৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মামুন ভূঁইয়া, রকি, কর্মী মো. রাসেল, মো. বাবুল ও খোকন, ৪০ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা ইমরান, ৪২ নং ওয়ার্ড যুবদল সদস্য সচিব মাসুদ রানা, সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদল নেতা রকি ও আল আমিন প্রমুখ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন বরিশালে দলীয় সমাবেশে অংশ নিতে ঢাকা থেকে একটি গাড়ি বহর নিয়ে রওনা হন। এসময় বাঁধার সম্মুখীন হয় তার গাড়ি বহরটি। এক পর্যায়ে গাড়িবহরটি বরিশালের কাছাকাছি গৌরনদীর মাহিলারা বাজারে পৌঁছালে সেখানে হামলা করেন দুর্বৃত্তরা। হামলায় ইশরাক হোসেন অক্ষত থাকলেও ভাঙচুর চালানো হয় তার গাড়িবহরে। ওইসব গাড়িতে থাকা কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে ইশরাক হোসেন বলেন, ‘আমাদের সমাবেশগুলোতে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ সরকারের মনে ভীত ছড়াচ্ছে। গণ জোয়ার আটকাতে না পেরে সমাবেশস্থলে যাওয়ার পথে স্থানীয় আওয়ামী লীগ-যুবলীগ এবং ছাত্রলীগ দিয়ে বাঁধার সৃষ্টি করছে।’

বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বরিশালের বিভাগীয় গণসমাবেশে অংশ নিতে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত ঢাকা থেকে বরিশাল যাওয়ার পথে গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডে বাঁধার সম্মুখীন হন। সেখানে ৫০/৬০ জন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তার গাড়ি থামিয়ে হামলার হুমকি দেয়। গালিগালাজ করে তাকে ঢাকায় ফিরে যেতে বলে। ইশতিয়াক আজিজ নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিলেও তাকে ঢাকার দিকে ফিরে যেতে বলে। তিনি বরিশালে যেতে না পেরে গাড়ি ঘুরিয়ে ঢাকায় ফিরে যান।