দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : দেশে ১০ হাজার ঘরবাড়ি ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান। সিত্রাং দেশের ৪১৯টি ইউনিয়নে আঘাত হেনেছে বলেও জানান তিনি। আজ মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’-পরবর্তী সার্বিক বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী জানান, ঝুঁকিপূর্ণ সব জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মানবিক সহায়তার আওতায় ১৯টি জেলায় ৪৭৫ মেট্রিক টন চাল, ৯৫ লাখ টাকা, ১৯ হাজার শুকনা ও অন্যান্য খাবারের বস্তা/প্যাকেট, ৬ হাজার ৪১১ কার্টন ড্রাইকেক (প্রতি কার্টুন ১.৫৬ কেজি), ৭ হাজার ৫৭৬ কার্টন বিস্কুট (প্রতি কার্টুন ১.৩২ কেজি) বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
জেলাগুলো হচ্ছে—খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, নড়াইল, যশোর, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, পিরোজপুর, বরগুনা, ঝালকাঠি, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, চাঁদপুর, নেয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সিত্রাং নিয়ে পূর্বাভাস ছিল অনেক ক্ষতি হবে। কিন্তু আল্লাহর কাছে শুকরিয়া যে, এটি ঘূর্ণিঝড়ই ছিল, প্রবল বা সুপার সাইক্লোন হয়নি। আমাদের যে ধারণা ছিল, তারও আগে এটি বাংলাদেশ পার হয়।
অন্যদিকে আমাদের প্রতিনিধিদের দেওয়া তথ্য মতে এখন পর্যন্ত সিত্রাংয়ে ১৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এর মধ্যে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ঝড়ো বাতাসে ঘরের ওপর গাছ পড়ে প্রাণ গেছে এক দম্পতি এবং তাদের চার বছরের শিশুর। সিরাজগঞ্জের সদরে যমুনা নদীর একটি খালে নৌকা ডুবে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। পটুয়াখালীতে ট্রলার ডুবে মারা গেছেন এক শ্রমিক। ভোলা সদর, দৌলতখান, লালমোহন ও চরফ্যাশনে মারা গেছেন চারজন। গাছ ভেঙে পড়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় দুজন এবং নড়াইলের লোহাগড়া ও বরগুনা সদর উপজেলায় একজন করে মারা গেছেন। এ ছাড়া ঝড়ের সময় ঢাকার হাজারীবাগেও দেয়ালধসে এক রিকশাচালকের মৃত্যুর খবর দিয়েছে পুলিশ।