দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : ইউক্রেনে রাশিয়ার নতুন দফা হামলার বিরাম নেই। বৃহস্পতিবারও নতুন আক্রমণে কিয়েভের কাছে থাকা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আঘাত হেনেছে রাশিয়া। এ ছাড়া দক্ষিণ ইউক্রেনের শহর মাইকোলাইভে পাঁচতলা একটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রুশ হামলায়। মাইকোলাইভের মেয়র ওলেকসান্দার সেনকেভিচ বলেছেন, শহরটিতে ‘ব্যাপক গোলাবর্ষণ’ হয়েছে।
রাশিয়া তার অবস্থানের পুনরাবৃত্তি করে বলেছে, ইউক্রেনকে সহায়তার মাধ্যমে পশ্চিমারা যে এই সংঘাতের সরাসরি একটি পক্ষ, সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে। একই সঙ্গে ইউক্রেনকে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে অন্তর্ভুক্ত করা হলে তা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা করতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়ে মস্কো। বৃহস্পতিবার রাশিয়ান ফেডারেশনের নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি সেক্রেটারি আলেকজান্ডার ভেনেডিক্টভ রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা তাসকে বলেছেন, কিয়েভ ভালোভাবেই অবগত যে এই ধরনের পদক্ষেপের অর্থ নিশ্চিতভাবেই উত্তেজনা বৃদ্ধিকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে টেনে নিয়ে যাবে।
গত মাসের শেষের দিকে ইউক্রেনের আংশিকভাবে দখলকৃত চারটি অঞ্চলকে রুশ ভূখণ্ড হিসাবে ঘোষণার জন্য মস্কোতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রুশ প্রেসিডেন্টের এই আয়োজনের পরপরই দ্রুতগতিতে ন্যাটো সামরিক জোটের সদস্যপদ পাওয়ার জন্য অনেকটা আকস্মিকভাবে আবেদনের ঘোষণা দেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফ বলেছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ইউক্রেনের ৪০টিরও বেশি বসতিতে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। অন্যদিকে, ইউক্রেনের বিমান বাহিনী রাশিয়ার ২৫টি লক্ষ্যবস্তুতে অন্তত ৩২ বার হামলা চালিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে ইউক্রেনীয় বন্দরনগরী মিকোলাইভের মেয়র ওলেকসান্দার সেনকেভিচ বলেছেন, দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরটিতে ব্যাপক গোলাবর্ষণ করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, একটি পাঁচতলা আবাসিক ভবনে হামলা হয়েছে। এতে এই ভবনের উপরের দু’টি তলা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। ভবনের বাকি অংশ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে। ভবন ধসের স্থানে কাজ করছেন উদ্ধারকারীরা।
এছাড়া কৃষ্ণ সাগরের কাছে দক্ষিণাঞ্চলীয় মিকোলাইভ শহরের বাগ নদীবন্দর ও সেখানকার একটি জাহাজ নির্মাণ কেন্দ্র রাশিয়ার ভারী বোমা হামলার শিকার হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে রাশিয়া বিস্ফোরক ড্রোন ব্যবহার করে রাজধানী কিয়েভের একটি বসতিকে লক্ষ্যবস্তু করেছে বলে আঞ্চলিক প্রশাসনের টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে জানানো হয়েছে।