দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে হঠাৎ করেই কম দেখাচ্ছে ফেসবুক পেইজে ফলোয়ার সংখ্যা। বুধবার সকালে ঘুম থেকে উঠে দেশের অনেকেই দেখেন তাদের ফেসবুকে ফলোয়ার সংখ্যা রহস্যজনকভাবে কমে অর্ধেক বা তারও কমে দাঁড়িয়েছে। এমনকি ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গের ফলোয়ারের সংখ্যাও অনেক কমে গেছে। প্রায় ১০ কোটি থেকে কমে রাতারাতি তার ফলোয়ারের সংখ্যা কমে মাত্র ৯ হাজার ৯৯৩ হয়েছে।
এ নিয়ে অনেকেই নিজ নিজ ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কারণ জানতে চেয়েছেন। কেউ কেউ বিষয়টিকে ফেসবুকের টেকনিক্যাল সমস্যা বলে অবহিত করলেও এ নিয়ে ফেসবুক সংশ্লিষ্ট কেউ মন্তব্য করেনি।
তবে ফেসবুকের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড এনফোর্সমেন্ট রিপোর্টে বলা হয়েছে, এ বছরের এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে প্রায় ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন সন্দেহজনক বট অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তার আগের তিন মাসে প্রায় ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ভুয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
ফেসবুকের হিসাব অনুযায়ী, এ বছরের এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে ভুয়া অ্যাকাউন্ট ছিল বিশ্বব্যাপী মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর প্রায় ৫ শতাংশ। ভুয়া অ্যাকাউন্ট নিয়ে ফেসবুক তাদের ট্রান্সপারেন্সি সেন্টার পেজেসে জানায়, যত বেশি সম্ভব ভুয়া অ্যাকাউন্ট সরিয়ে ফেলাই আমাদের লক্ষ্য। আমাদের নীতি ভঙ্গকারী অ্যাকাউন্ট, ব্যবসার প্রতিনিধিত্ব করে এমন ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট কিংবা পোষা প্রাণীর নামে অ্যাকাউন্ট ভুয়া অ্যাকাউন্টের তালিকায় আছে।
এরমধ্যে নিউইয়র্ক টাইসম, ওয়াশিংটন পোস্ট, দ্য হিল, ইউএস টুডে, নিউইয়র্ক পোস্ট ও নিউজইউক রেকর্ডসংখ্যক ফলোয়ার হারিয়েছে। ইউএসএ টুডে গত সোমবার হারিয়েছে ১৩৭২৩ এবং মঙ্গলবার হারিয়েছে ১১৩৯২ জন ফলোয়ার। অপরদিকে নিউইয়র্ক টাইমস গত সোমবার হারিয়েছে ৬,২২৫ জন ও মঙ্গলবার হারিয়েছে ৪,৯৪৪ জন ফলোয়ারকে।
একই ভাবে সোমবার নিউইয়র্ক পোস্ট হারিয়েছে ৮২০০ জন ও পরের দিন ৪৩৭৮ জন ফলোয়ার হারিয়েছে। সোমবার ওয়াশিংটন পোস্ট তাদের ফলোয়ার হারিয়েছে ৫,৮০৪ জন এবং পরের দিন আরও ৪,৩৩৭ হারিয়ছে।
এ নিয়ে ফেসবুকের তরফ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া না গেলও, প্রতিষ্ঠানটির কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড এনফোর্সমেন্ট রিপোর্ট বলছে চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে প্রায় ১.৪ বিলিয়ন সন্দেহজনক বট অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তার আগের তিন মাসে প্রায় ১.৬ বিলিয়ন ভুয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
ভুয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার প্রসঙ্গে ফেসবুকের ট্রান্সপারেন্সি সেন্টারের পক্ষ থেকে বলা হয়, আমাদের লক্ষ্য হলো ফেসবুক থেকে যতটা সম্ভব জাল অ্যাকাউন্ট সরিয়ে ফেলা। এসব অ্যাকাউন্টের বেশিরভাগই আমাদের নীতি লঙ্ঘন করে খোলা হয়েছে।