দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদের কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচি আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে। এই কর্মসূচি ১২ দিন চলবে। এরপর একদিন শুধু জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের স্কুলের বাইরে থাকা ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদেরকে ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনতে সারা দেশে একযোগে কমিউনিটি পর্যায়ে টিকা কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
সোমবার করোনা টিকা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব শামসুল হকের সই করা এক নির্দেশনায় এসব তথ্য জানানো হয়। শিশুদের জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি পেডিয়াট্রিক ফর্মুলেশন ফাইজার বায়োএনটেক কমিরনিটি টিকা দেওয়া হবে। সারা দেশের সোয়া দুই কোটি শিশুকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, মঙ্গলবার থেকে এই টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হবে। এই টিকার দুই ডোজ আট সপ্তাহের ব্যবধানে নিতে হয়। এদিন শিশুদের স্কুলকেন্দ্রিক ভ্যাকসিনেশন শুরু হবে। পরবর্তীকালে তা কমিউনিটি পর্যায়ে দেওয়া হবে।
প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরু হবে। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান/ প্রতিনিধি, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বা পৌরসভা কর্তৃপক্ষক্ষ আলোচনা করে সমন্বয়ের মাধ্যমে টিকা প্রদান কার্যক্রমের সময় নির্ধারণ করবেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর আরও জানায়, ইতোমধ্যেই সুরক্ষা ওয়েবপোর্টাল বা অ্যাপের মাধ্যমে উল্লিখিত বয়সসীমার শিশুদের রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে। রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে ১৭ ডিজিটের ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন নম্বর ব্যবহার করতে হবে। নিবন্ধনের পর কোভিড-১৯ টিকা কার্ড প্রদর্শন সাপেক্ষেক্ষ নিকটস্থ স্কুল ভ্যাকসিনেশন সেন্টার ও পরবর্তী সময়ে কমিউনিটি পর্যায়ে (স্কুলবহির্ভূত শিশু) নিকটস্থ কেন্দ্র হতে ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে পারবে। কোনও কারণে শিশুর সুরক্ষা নিবন্ধন সম্ভব না হলেও লাইন লিস্টিংয়ের মাধ্যমে কোডিড-১৯ ড্যাকসিন দেওয়া হবে।
এর আগে গত ২৫ আগস্ট থেকে দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের স্কুল ও কমিউনিটি পর্যায়ে ৫-১১ বছরের শিশুদের টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। আর গত ১১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পরীক্ষামূলকভাবে শিশুদের করোনার টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।