দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : সিরিয়ার উপকূলে অভিবাসীবাহী নৌকা ডুবে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কয়েক জনকে। অভিবাসী ও শরণার্থীদের বহনকারী নৌকাটি লেবানন থেকে ছেড়ে এসেছিল এবং পথে সিরিয়া উপকূলে এটি দুর্ঘটনা মুখে পড়ে। সিরিয়ার সরকারের বরাত দিয়ে শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। বেঁচে যাওয়াদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার লেবাননের উত্তর মিনিয়েহ অঞ্চল থেকে তাঁদের বহনকারী নৌকাটি যাত্রা শুরু করে। এতে বিভিন্ন দেশের ১২০ থেকে ১৫০ জনের মতো যাত্রী ছিলেন।
যে স্থানে নৌকাডুবির ঘটনাটি ঘটে, তার আশপাশের পরিস্থিতি প্রতিকূল। উত্তাল সমুদ্র ও প্রবল বাতাসে ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বন্দরের মহাপরিচালক সামের কুব্রুসলি। এর আগে গত বুধবার লেবাননের সেনাবাহিনী জানিয়েছিল, তারা একটি নৌকা থেকে অভিবাসনপ্রত্যাশী অন্তত ৫৫ জনকে উদ্ধার করেছে। তারা ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপের কোনো দেশে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছার পরিবর্তে আবারও লেবাননের উপকূলেই চলে আসে।
অর্থনৈতিক সংকটের কারণে শুধু লেবাননেই হাজার হাজার লোক তাদের চাকরি হারিয়েছে এবং লেবানিজ পাউন্ডের মূল্য ৯০ শতাংশেরও বেশি কমে গেছে। এছাড়া হাজার হাজার পরিবার তাদের ক্রয় ক্ষমতা হারিয়েছে এবং এখন তারা কার্যত চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করছে।
তার্তুসের গভর্নর আব্দুল হালিম খলিল হাসপাতালে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের দেখতে গেছেন বলে জানা গেছে। অবশ্য ডুবে যাওয়া নৌকায় ঠিক কতজন লোক ছিল এবং তারা ঠিক কোথায় যাচ্ছিল তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট হওয়া যায়নি। তবে কোস্টগার্ড এখনও মৃতদেহের সন্ধান করছে। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ডুবে যাওয়া নৌকাটিতে বিভিন্ন দেশের মানুষ ছিল।
আলজাজিরা বলছে, হাজার হাজার লেবানিজ, সিরিয়ান এবং ফিলিস্তিনি গত কয়েক মাস ধরে ইউরোপে আরও ভালো জীবনের আশায় নৌকায় করে লেবানন ছেড়েছে। লেবাননের জনসংখ্যা ৬০ লাখ, যার মধ্যে ১০ লাখ সিরীয় শরণার্থী রয়েছে। ২০১৯ সালের শেষের দিক থেকে দেশটি গুরুতর অর্থনৈতিক মন্দার কবলে পড়ে যা জনসংখ্যার তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি মানুষকে দারিদ্র্যের দিকে টেনে নিয়েছে।