দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে রান পাচ্ছিলেন না দীর্ঘদিন। অভিজ্ঞতার বিবেচনায় তবুও টিকে যাচ্ছিলেন। কিন্তু হাতের মুঠোয় পাওয়া সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারছিলেন না কোনোভাবেই। বাদ পড়ার পর এশিয়া কাপ দিয়ে ফিরেছিলেন টি-টোয়েন্টি দলে। কিন্তু আফগানিস্তানের বিপক্ষে রান না পাওয়ার পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও ব্যর্থ হন মুশফিক। প্রথম ম্যাচে ১, দ্বিতীয় ম্যাচে মাত্র ৪ রান করেন। সঙ্গে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে ক্যাচ মিস, ক্যাচ নিয়েও রিভিউ না নিতে পারার ব্যর্থতায় প্রবল সমালোচিত হচ্ছিলেন তিনি। ঠিক তার পর দিনই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। তবে অভিজ্ঞ উইকেটকিপার ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিসহ টেস্ট, ওয়ানডে চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
অবসরের ঘোষণা দিতে নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজটি বেছে নিয়েছেন সাবেক অধিনায়ক। লিখেছেন, সবাইকে সালাম এবং শুভেচ্ছা। দীর্ঘ ক্রিকেট ক্যারিয়ারের যাত্রায় আমি আপনাদের সবাইকে পাশে পেয়েছি। ভালো এবং খারাপ দুই সময়েই আপনাদের অকুণ্ঠ সমর্থন আমার প্রেরণা। টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার থেকে আজ আমি অবসর নিচ্ছি।
২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাদ পড়ার পর মিরপুরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে কেবল একটি ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন। ওই ম্যাচে করেছিলেন ৩০ রান। এরপর এশিয়া কাপে দুই ম্যাচেই ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন।
তাছাড়া গুরুত্বপূর্ণ সময়ে মুশফিকের ভুল যেন নিয়মিত ঘটনা। ২০১৯ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের রানআউট মিস করায় ম্যাচটা হাতছাড়া করে বাংলাদেশ। এমন বহু ঘটনা অহরহ আছে তার ক্যারিয়ারে। এশিয়া কাপে কুশল মেন্ডিসের সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেওয়া এবং রিভিউ নিতে না পারায় ক্রিকেট সমর্থকদেরও চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছেন।
২০০৬ সালে বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি দলের সদস্য মুশফিক বিদায়ের আগে খেলেছেন ১০২টি ম্যাচ। যা বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ৬ হাফসেঞ্চুরিতে ১১৫.০৩ স্ট্রাইকরেটে ১৯.৪৮ গড়ে ১ হাজার ৫০০ রান করে মুশফিক তার ক্যারিয়ার শেষ করলেন।