দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পালিয়ে দেশত্যাগের দেড় মাসেরও বেশি সময় পর দেশে ফিরেছেন শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। গত জুলাইয়ের দেশত্যাগের পর প্রথমে মালদ্বীপ, সেখান থেকে সিঙ্গাপুর, পরে থাইল্যান্ডে পাড়ি জমান তিনি। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত ১২টার পর সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ব্যাংকক থেকে সিঙ্গাপুর হয়ে কলম্বোর অদূরে বন্দরনায়েক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। এ সময় বিমানবন্দরে তার দলের আইনপ্রণেতারা তাকে স্বাগত জানান। পরে সশস্ত্র সৈন্যদের কড়া পাহারা দিয়ে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন রাজাপাকসে।
গত সাত সপ্তাহ আগে শ্রীলংকায় তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের জেরে গণরোষের মুখে দেশ ছাড়েন গোতাবায়া রাজাপাকসে। সামরিক বিমানে তিনি মালদ্বীপ পালিয়ে যান। সেখান থেকে সিঙ্গাপুর গিয়ে পদত্যাগপত্র পাঠান। সিঙ্গাপুর থেকে সর্বশেষ তিনি থাইল্যান্ডে যান। ৭৩ বছর বয়সী রাজাপাকসে একটি বাণিজ্যিক বিমানে শুক্রবার থাইল্যান্ড থেকে সিঙ্গাপুর হয়ে শ্রীলংকায় পা রাখেন। এর মাধ্যমে তার ৫২ দিনের স্ব-আরোপিত নির্বাসন শেষ হলো।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের প্রধান বিমানবন্দরে গোতাবায়া পা রাখার পর একদল মন্ত্রী তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এই ঘটনা দ্বীপরাষ্ট্রে গোতাবায়া রাজাপাকসের অশেষ প্রভাবের উদাহরণ। যদিও সমালোচকেরা শ্রীলংকার অর্থনৈতিক দৈন্যদশার জন্য তাকে দায়ী করেন।
বিমানবন্দরের একজন কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, গোতাবায়া রাজাপাকসের বিমানবন্দরে আগমনের খবরে তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করতে সরকারপন্থি রাজনীতিবিদদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক শ্রীলংকার প্রতিরক্ষা বাহিনীর একজন কর্মকর্তা বলেন, গোতাবায়া রাজাপাকসে থাইল্যান্ডের হোটেলে কার্যত কারাবন্দির মতো জীবন পার করছিলেন। তিনি দেশে ফিরতে আগ্রহী ছিলেন। দেশে ফেরায় তার জন্য নতুন নিরাপত্তা বিভাগ খোলা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই ইউনিটে সেনা ও পুলিশ সদস্যরা রয়েছে।
বর্তমান প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে শক্তিশালী রাজাপাকসে পরিবারকে রক্ষা করছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন শ্রীলংকার বিরোধীদলীয় রাজনীতিবিদরা।