দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : ঢাকাতে প্রতিদিন প্রায় ৬ হাজার টন বর্জ্য উৎপাদিত হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) জাতীয় সংসদে এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা উত্তর সিটির আওতাধীন ৫৪টি ওয়ার্ডে প্রতিদিন প্রায় ৩ হাজার ৪০০ টনের অধিক বর্জ্য উৎপাদিত হয়। যার মধ্যে প্রায় ৮৪ শতাংশ বর্জ্যই সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনে এসে থাকে। যা পরিবেশসম্মত গাড়ির মাধ্যমে নিয়মিত অপসারণ করে ল্যান্ডফিলে ব্যবস্থাপনা করা হয়ে থাকে। বাকি প্রায় ১৬ শতাংশ ঝাড়ুর বর্জ্য যা খোলাট্রাকের মাধ্যমে রাতে অপসারিত হয়ে থাকে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে প্রতিদিন প্রায় ৩ হাজার টন বর্জ্য সংগ্রহ করে মাতুয়াইল ল্যান্ডফিল্ডে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা হয়। বর্জ্য সংগ্রহের হার ৯০ শতাংশের বেশি। বর্জ্য সংগ্রহ বৃদ্ধি এবং শৃঙ্খলিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ওয়ার্ড ভিত্তিক একটি করে ৭০/৮০ টন ক্ষমতাসম্পন্ন এসটিএস নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটির আওতাভুক্ত ৭৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫৬টি ওয়ার্ডে এসটিএস অন্তবর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ পরবর্তী ব্যবহার হচ্ছে। তাছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রাইমারি কালেকশন সার্ভিস প্রভাইডার (পিসিএসপি) নিয়োজিত করে বাসা-বাড়ি ও দোকান পাটের আবর্জনা এসটিএস বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রে জমা করে ল্যান্ডফিলে অপসারণ করা হচ্ছে। ফলে যত্রতত্র স্থানে বিদ্যমান কন্টেইনার এবং খোলা ডাস্টবিন বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। এতে নগরবাসী দূষণমুক্ত পরিচ্ছন্ন নগরি উপভোগ করছে।
উল্লেখ্য, ডিএনসিসির আওতাধীন এলাকায় বর্তমানে ৫৪ টি সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনের (এসটিএস) মাধ্যমে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সুবিধাজনক জায়গা না পাওয়ায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক এসটিএস নির্মাণ সম্ভব হচ্ছে না। তবে বর্তমানে মেয়রের নির্দেশনায় আন্ডারগ্রাউন্ড এসটিএস নির্মাণ পরিকল্পনাধীন রয়েছে। এছাড়া জনসাধারণের অসচেতনতার কারণে বিভিন্ন অবৈধ কাঁচাবাজারের বর্জ্য, নির্মাণ সামগ্রী, গাছের ডাল-পালা ও কলকারখানার বর্জ্য রাস্তার পাশে ফেলে যায়। যা পর্যায়ক্রমে ডিএনসিসির পক্ষ হতে নিয়মিত পরিষ্কার করা হয়ে থাকে।