দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : বছর না ঘুরতেই তৃতীয়বারের মতো শারজাতে খেলতে নামছে বাংলাদেশ। এর আগে গত বিশ্বকাপে খেলা দুই ম্যাচেই পিচ পড়তে ভুল করেছিল লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাড়তি স্পিন সহায়ক ভেবে বাড়তি স্পিনার আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পেস সহায়ক ভেবে বাড়তি পেসার। দুই ম্যাচেই হয়েছে হিতে বিপরীত। তৃতীয় ম্যাচে কি একইরকম ভুল করবে টিম ম্যানেজমেন্ট? এই প্রশ্ন আরও উঁকি দেয় এখনও পিচ দেখার সুযোগ না পাওয়ায়। ম্যাচের আগেরদিনও বরাবরের মতো বাংলাদেশ অনুশীলন করে দুবাইতে।
এশিয়া কাপ অভিযান শুরুর আগে সাকিবদের কিছু একটা করার তাড়নায় বাধা হতে তৈরি আফগানিস্তানও। আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে বিধ্বস্ত করা দলটির সবচেয়ে বড় তারকা রশিদ খান যেমন গতকাল সন্ধ্যার সংবাদ সম্মেলনে এসে বলে গেলেন, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে কী করেছি না করেছি, তা আমরা ভুলে গেছি। পেছনেরটা মনে রাখতে চাই না। তবে (জিততে হলে) কোন প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়, সেটি আমাদের জানা আছে।
তবে উড়তে থাকা আফগানদের ওপর হামলে পড়ার উপলক্ষ্য আছে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সামনে। কারণ আজ মাঠে নামতেই দেশের তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে টি-২০তে ম্যাচ খেলার ‘সেঞ্চুরি’ পূর্ণ করবেন সাকিব আল হাসান। অধিনায়কের শততম ম্যাচটা জয়ের আবিরে রাঙাতে প্রয়োজন সম্মিলিত প্রয়াস। জ্বলে উঠতে হবে দল হিসেবে।
আফগান পরীক্ষায় টাইগারদের পক্ষে নেই পরিসংখ্যান, পারিপার্শ্বিকতা। এটুকু বিশ্বাস অবশ্য আছে যে, আফগানদের মাটিতে নামানোর সামর্থ্য আছে টিম বাংলাদেশের। আগের আট বারের সাক্ষাতে তাদের কাছে পাঁচ বার হেরেছে বাংলাদেশ, জিতেছে তিন বার। আবার শেষ পাঁচ ম্যাচে মাত্র একটি জয় চিন্তার কারণ বটে। অধিনায়ক সাকিবের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা দলের বড় সাহস। ক্যারিয়ারের শততম ম্যাচে বাঁহাতি এই অলরাউন্ডারের কাছেও ব্যবধান গড়া পারফরম্যান্স চায় বাংলাদেশ। সঙ্গে এই ফরম্যাটের অভিজ্ঞ বোলার মুস্তাফিজুর রহমানের জ্বলে ওঠা প্রয়োজন। বিজয়, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ, শেখ মেহেদীরা পারফর্ম করতে পারলে আফগানদের হারানো সম্ভব।
দুরন্ত ছন্দে থাকা আফগানিস্তান দলের মূল শক্তি বোলিং। স্পিনার রশিদ খান, মুজিব, নবিদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ফজল হক ফারুকির ক্ষুরধার পেস বোলিং। সামনে তাই কঠিন চ্যালেঞ্জ, যা উতরে যেতে হবে সাহসী ব্যাটিং দিয়ে। সাকিব-মুস্তাফিজ-মেহেদীকে নিয়ে বাংলাদেশের বোলিংটাও নেহাত খারাপ নয়। ভারতীয় ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মাঞ্জেরকারের মতে, আজকের ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেবেন ব্যাটসম্যানরা। যে দলের ব্যাটিং ভালো হবে, তারাই জয়ের হাসি হাসবে।