বিশেষ প্র্রতিনিধি : চা শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে মালিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার বিকাল সোয়া ৪টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ বৈঠক শুরু হয়। এতে দেশের বৃহৎ ১৩টি চা বাগান মালিক অংশ নিয়েছেন।
গত ৯ আগস্ট থেকে দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি এবং পরে ১৩ আগস্ট অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছেন চা শ্রমিকরা।শ্রমিকদের টানা ধর্মঘটে স্থবির চা শিল্প। প্রশাসন থেকে শুরু করে চা শ্রমিক সংগঠনের নেতারা কয়েক দফায় চেষ্টা করেও শ্রমিকদের কাজে ফেরাতে পারেননি। শ্রমিকদের সাফ কথা- আমাদের মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র ঘোষণা ছাড়া তারা কাজে ফিরবেন না।
এদিকে ভরা মৌসুমে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকদের টানা ১৭ দিনের আন্দোলনের কারণে কয়েকশ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে চা শিল্পে। শ্রমিকদের আন্দোলনের প্রথম দিকে সব চা বাগানে উত্তোলন করা কাঁচা চায়ের পাতা সময়মতো প্রক্রিয়াজাত করতে না পারায় পচে ও শুকিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। এ ছাড়া চা প্ল্যান্টেশন এলাকা থেকে কচি চা পাতা তুলতে না পারায় সেগুলোও এক থেকে দেড় ফুট লম্বা হয়ে গেছে। এ পাতা চায়ের জন্য প্রক্রিয়াজাত করা সম্ভব নয়।
চা শ্রমিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা কাঞ্চন পাত্র জানান- আন্দোলনকে পুঁজি করে বিভিন্ন সংগঠন আসতে শুরু করেছে। আশা করি প্রধানমন্ত্রী অতিদ্রুত বিষয়টি সমাধান করবেন। যদি দেরি হয় তবে চা শ্রমিকরা বিপথগামী হতে পারেন। তিনি বলেন, আগামীকাল (শনিবার) প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে আশা করা যায় বিষয়টি নিষ্পত্তি হবে।