দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট ওই হামলা চালিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিয়েছিল। একযোগে দেশের ৪৩৪ স্পটে পাঁচ শতাধিক বোমা হামলা চালিয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করা সেই ঘটনার ১৭ বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ বুধবার। দেশব্যাপী এ সিরিজ বোমা হামলার শেষ হয়নি ৪১ মামলার বিচার। সাক্ষী না আসায় বিচার শেষ হচ্ছে না বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় সারা দেশের বিভিন্ন থানায় ১৫৯টি মামলা দায়ের হয়। এসব মামলায় ৫৬০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তদন্ত শেষে এসব মামলায় ৭৩৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়। আসামিদের পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা না পাওয়ায় ১৬টি মামলায় দেওয়া হয়েছে চূড়ান্ত প্রতিবেদন। এখন পর্যন্ত ১১৮টি মামলার রায় ঘোষণা হয়েছে। ১৯৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয় আদালত। ২৮১ জনকে অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হয়। মৃত্যুদণ্ড রায় দেওয়া হয়েছে ১৫ জনকে। ৪১টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এরমধ্যে ঢাকার আদালতে বিচারাধীন রয়েছে পাঁচ মামলা। সর্বশেষ চারটি মামলার রায় হয় গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে। এতে ১৭ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে। খালাস পেয়েছেন একজন।
বিচার বিলম্বিত হওয়া সম্পর্কে ঢাকা মহানগর আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু বলেন, ঢাকার আদালতে ১৭টি মামলা ছিল। এরমধ্যে কয়েকটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন ও কয়েকটির বিচার শেষ করে আসামিদের সাজা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে পাঁচটি মামলা বিচারাধীন আছে। সেগুলোও সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। সাক্ষীরা আদালতে হাজির না হওয়ায় মামলার বিচার বিলম্বিত হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে সাক্ষীদেরও পাওয়া যায়নি। সাক্ষীদের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে। পুলিশও চেষ্টা করছে সাক্ষীদের খুঁজে বের করতে। আবার করোনার কারণে বিচার বন্ধ ছিল।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে অনেকের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। এখন সাক্ষীদের হাজির করে বিচার শেষ করার চেষ্টা করবো। চাঞ্চল্যকর এসব মামলা চাইলেই তো শেষ করে দেওয়া যায় না।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্টে একই সময়ে দেশের ৬৩ জেলার একযোগে প্রায় ৫০০ এর বেশি বোমা হামলা চালিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেয় জেএমবি। এই সিরিজ বোমা হামলায় দুজন নিহত হন। আহত হন শতাধিক মানুষ।