নিজস্ব প্রতিবেদক : দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১০ জেলা’র সড়কপথে যোগাযোগের জন্য নির্মিত কালনা সেতু আগামী সেপ্টেম্বর মাসে উদ্বোধন হতে পারে। নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মধুমতী নদীতে দেশের প্রথম ছয় লেন কালনা সেতুতে রোড মার্কিংয়ের কাজ চলছে। এ মাসেই নির্মাণকাজ শেষে যানবাহন চলাচলের জন্য সেতুটি উন্মুক্ত করা হবে বলে জানান সেতুর প্রকল্প ব্যবস্থাপক।
বদলে যাবে নড়াইলসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আর্থ সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পর্যটন, কৃষি ও অর্থনীতি। নড়াইল ও গোপালগঞ্জকে বিভক্তকারী নদী মধুমতীর কালনা পয়েন্টে এ সেতু নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৯৫৯ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।
সেতুর প্রকল্প ব্যবস্থাপক এবং সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ নড়াইলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুজ্জামান বলেন- সেতুতে যত ধরনের অবকাঠামো তৈরির কাজ ছিল, তার সবই করা হয়েছে। এখন ছোটখাটো যেসব কাজ রয়েছে সেগুলো করছি। রোড মার্কিং দেওয়া হচ্ছে, এটা প্রায় শেষের দিকে। ‘গতিসীমা’ সংকেত দেওয়া হচ্ছে। পেইন্টিংয়ের কাজও হয়ে গেছে। নির্মাণ পরবর্তী পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাও আমরা শুরু করে দিয়েছি। সামান্য যে কাজ বাকি আছে তা আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যে সম্পন্ন হয়ে যাবে। মূল সেতুর নির্মাণ কাজের অগ্রগতি ৯৬ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।
জানা গেছে- নড়াইলের কালনা এলাকায় মধুমতী নদীর তীরে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর ৩০০ একর জমি অধিগ্রহণের একটি প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়েছে জেলা প্রশাসন। শিগগিরই এ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কাজ দৃশ্যমান হবে। ফলে এখানে দেশি বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করবেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন- কালনা সেতু চালু হলে ঢাকা থেকে নড়াইলের দূরত্ব হবে মাত্র ১১৩ কিমি.। কালনা সেতু চালু পরবর্তী আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট রাতারাতি পরিবর্তন হবে। ফরেন ইনভেস্টমেন্ট হবে, বিশেষ করে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এখানে হচ্ছে। জেলা শহরের অদূরেই বিসিক শিল্পনগরী হতে যাচ্ছে…।