1. bazmedialink7@gmail.com : Baz Alam : Baz Alam
  2. mdkaif01133@gmail.com : md :
  3. talhanrcc2014@gmail.com : Talha : MD TALHA
  4. deshbidesh2022@gmail.com : Tuhin Ahmed : Tuhin Ahmed
যেমন খুশি তেমন ভাড়া আদায় করছে বাসগুলো! - DeshBideshNews
November 26, 2024, 3:30 pm
 

যেমন খুশি তেমন ভাড়া আদায় করছে বাসগুলো!

  • Update Time : Tuesday, August 9, 2022
  • 304 Time View

নিজস্ব প্রতিনিধি : সারাদেশে জ্বালানি তেলের নতুন দামের কারণে বেড়েছে বাস ভাড়া। ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে বেড়েছে ১৬.২৭ শতাংশ। এরপরও যাত্রীদের কাছ থেকে যেমন খুশি তেমন ভাড়া আদায় করছে বাসগুলো। মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণাকে সুযোগ হিসাবে নিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করে এই কাজ করছেন তারা। নতুন ভাড়া নির্ধারণের দ্বিতীয় দিনে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, যাত্রীদের কাছ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।

বাসগুলোতে নেই ভাড়ার তালিকা। সরকারের পক্ষ থেকে এসব অন্যায় রুখতে কঠোর তদারকির কথা বলা হলেও বাস্তব চিত্র ভিন্ন। রাজধানীর কিছু কিছু স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করেছে। তবে বেশিরভাগ বাসেই চলছে ভাড়া নৈরাজ্য। প্রতিবাদ করতে গিয়ে পরিবহণ শ্রমিকদের হয়রানির শিকার হয়েছেন এমন অভিযোগও করেছেন কেউ কেউ।

সোমবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়- সড়কে পরিবহণের চাপ অন্যান্য সময়ের থেকে কম। তবে বাস চলাচল স্বাভাবিক। যাত্রীর চাপ ছিল অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশি। তেলের মূল্যবৃদ্ধির এই সময়ে ব্যক্তিগত পরিবহণের পরিবর্তে অনেকে বাস বেছে নিয়েছেন। এর বাইরে বাসের নিয়মিত যাত্রী তো আছেই। সেকারণেই গণপরিবহণে যাত্রীর চাপ তৈরি হয়। এই সুযোগে যাত্রীদের পকেট কাটছে পরিবহণ শ্রমিকরা। যাত্রীদের অভিযোগ, এভাবে কয়েকদিন অতিরিক্ত ভাড়ার জন্য ‘ঝামেলা’ করবে বাসগুলো।

রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রামসহ নগর পরিবহণে প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ৩৫ পয়সা বাড়িয়ে ২ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়েছে। এর আগে প্রতি কিলোমিটার ভাড়া ছিল ২ টাকা ১৫ পয়সা। মিনিবাসে আগে ২ টাকা ৫ পয়সা ছিল, এখন ২ টাকা ৪০ পয়সা। বাস-মিনিবাসে সর্বনিম্ন ভাড়া আগের মতোই যথাক্রমে ১০ ও ৮ টাকা। অথচ বর্ধিত ভাড়া কাগজেই সীমাবদ্ধ। বাসগুলো নিজেদের মতো ভাড়া ঠিক করে নিয়েছে। কেউ ১/২ টাকা ভাড়া বাড়ায়নি। গন্তব্যে পৌঁছতে ৫, ১০, ১৫, ২০ এমন অঙ্কে ভাড়া বাড়িয়েছে তারা।

এদিকে রাইদা পরিবহণের এক চালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে ‘দেশ বিদেশ নিউজ’কে বলেন- আমরা ভাড়া বেশি নিচ্ছি সেটা সত্য কিন্তু এখানে আমাদের তো কিছু করার নেই। মালিকরা যেভাবে বলে আমরা সেভাবেই ভাড়া নেই। ওয়েবিল হিসাবে তারা আমাদের থেকে টাকা বুঝে নেয়। এজন্য বাসের রুটে কয়েকটি ‘চেক’ রয়েছে। সেখানে মাথা গুনে যাত্রী সংখ্যা হিসাব করে লিখে দেয় চেকাররা। দিনশেষে সেই হিসাবেও দিতে হয় ভাড়ার টাকা। আমরা কম নিলেও তাদেরকে বেশিই দিতে হবে। সেটা তো আর আমরা পকেট থেকে দেব না।

এদিকে বিড়ম্বনার চিত্র দেখা গেছে দূরপাল্লার পরিবহণগুলোতেও। প্রতিটি কাউন্টার থেকেই বর্ধিত ভাড়া চাওয়া হয়েছে। অনেক সময় বর্ধিত ভাড়ার চেয়েও নেওয়া হচ্ছে বেশি। এতে কাউন্টারগুলোতেও মানুষের ভিড় ছিল কম। একেবারে নিরুপায় হয়ে মানুষ টিকিট কিনছে। দেশের অন্যতম ব্যস্ত বাস টার্মিনালগুলোর একটি রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে অনেকটা ফাঁকা। যাত্রী সংকটে অনেক কাউন্টার ছিল বন্ধ।

শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ