ঝালকাঠি প্রতিনিধি : বখাটেদের উত্যক্ত ও কুপ্রস্তাবে অতিষ্ট হয়ে ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় নাসরিন আক্তার (১৩) নামে ৮ম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের উত্তর আউরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নাসরিন আক্তার ওই গ্রামের দিনমজুর নাসির হাওলাদারের মেয়ে।
স্বজন ও এলাকাবাসীর অভিযোগ একই গ্রামের শাহজালাল ওরফে জালাল আকনের বখাটে ছেলে সৈকত আকন (২৬) প্রায়ই স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে নাসরিনকে বিভিন্ন ভাবে উত্যক্ত করত ও খারাপ প্রস্তাব দিত। এতে অতিষ্ট হয়ে নাসরিন ঘরের বারান্দায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
নিহত নাসরিনের চাচা জহিরুল ইসলাম জানায়- প্রতিবেশী ও সরকারি তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া ডিগ্রী কলেজের অফিস সহকারী জালাল আকনের বখাটে ছেলে নাসরিনকে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে উত্যক্ত করেতো এবং কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এ বিষয়টা সবাই জানতো।
এ ব্যাপারে বখাটে সৈকতের অভি়ভাবককে বহুবার জানানো হয়েছে। কিন্তু পিতা জালাল তার ছেলেকে শাসন না করে বরং কয়েক দিন আগে স্থানীয় এক ঘটকের মাধ্যমে নাসরিনের পরিবারের কাছে বিয়ের প্রস্তাবও পাঠান।
নিহত নাসরিনের মা চম্পা বেগম জানান- আমার মেয়ে নাসরিন কাঠালিয়া সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণিতে পড়তো। স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে আমার মেয়েকে সৈকত আকন প্রায়ই বাজে কথা বলে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করত। এ নিয়ে মেয়েটা সব সময় মানসিক ভাবে যন্ত্রণায় থাকত। বুধবার বিকালে আমি আমার বাবার বাড়ি বড় কাঠালিয়া যাই, নাসরিন এ সময় ঘরে একা ছিল।
সন্ধ্যার দিকে বাড়িতে এসে পিছনের বারান্দায় গলায় ফাঁস দিয়ে নাসরিনকে ঝুলতে দেখতে পাই। আমার ডাক-চিৎকার শুনে বাড়ির লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে।
কাঠালিয়া থানা ওসি মুরাদ আলী বলেন- নাসরিনের লাশ উদ্ধার করা করা হয়েছে এবং ময়নাতদন্তের জন্য ঝালকাঠি মর্গে পাঠানো হয়েছে।