চবি প্রতিনিধি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র বিরুদ্ধে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার অভিযোগ এনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করেছেন ছাত্রলীগের নেতা কর্মী’রা।
আজ ১৩ জুন সোমবার বেলা একটার দিকে প্রকৌশল অনুষদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। তামজিদ উদ্দিন নামের ওই শিক্ষার্থীকে ক্লাস থেকে ডেকে নিয়ে মারধর করা হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
তামজিদ উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলা শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ওই বিভাগের এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন- বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ‘বিজয়’ গ্রুপের দুজন কর্মী দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তামজিদকে ক্লাসরুম থেকে ডেকে বাইরে নিয়ে যান। এরপর সাত থেকে আটজন নানা জিজ্ঞাসাবাদ ও গালাগাল করতে থাকেন। একপর্যায়ে তামজিদকে মারধর করে প্রক্টরের কার্যালয়ে নিয়ে যান তাঁরা।
জানা যায়- প্রক্টর কার্যালয়ে তামজিদকে তিন ঘণ্টা আটকে রাখার পর পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে বিকেল চারটার দিকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এরপর তামজিদ ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ছাত্র অধিকারসহ সব ধরনের রাজনীতি থেকে নিজেকে বিরত রাখার ঘোষণা দেন।
জানতে চাইলে ছাত্রলীগের বিজয় গ্রুপের নেতা ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন- তামজিদ বিভিন্ন সময় ফেসবুকে সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নানা উসকানি ও কটূক্তিমূলক পোস্ট দিয়ে আসছেন। তাঁকে এ নিয়ে সতর্ক করা হচ্ছিল। কিন্তু তামজিদ ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের কথা শোনেননি। তাই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রক্টরিয়াল বডির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে প্রক্টর রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন- এক ছাত্রকে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে প্রক্টর কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল বলে তিনি শুনেছেন। তবে তিনি অপর একটি বৈঠকে থাকায় বিষয়টি সহকারী প্রক্টররা দেখছিলেন।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর এস এ এম জিয়াউল ইসলাম বলেন- বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য তাঁরা তামজিদকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন।