দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক: তাকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রথম সুপারস্টার বলা হয়ে থাকে। ক্রিকেট ক্যারিয়ারে বর্ণিল অধ্যায়কে ধুসর করে ফেলে ‘ফিক্সিং কাণ্ড’। তবু মোহাম্মদ আশরাফুলের জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি। নিষেধাজ্ঞার পর মাঠে ফিরেছেন তবে সুবিধা করতে পারেননি। এবার নতুন পরিচয়ে বাইশ গজে যাত্রা শুরু হলো সাবেক এই ক্রিকেটারের।
কোচিংয়ের ক্লাস শেষ করে তবে মাঠে নেমেছেন শেখাতে। সম্পন্ন করেছেন লেবেল থ্রি। পেশাদার কোচিংয় তার প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট গ্লোবাল সুপার লিগ। দল রংপুর রাইডার্স। পদ সহকারী কোচ। বৃহস্পতিবার গ্লোবাল সুপার লিগের অনুশীলন শুরু করেছে রংপুর। এদিন মিরপুরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শুনিয়েছেন নিজের ভবিষ্যৎ স্বপ্নের কথা।
দুই যুগেরও বেশি সময় ক্রিকেট খেলেছি। কিন্তু এখন কোচিং পেশায় এসেছি। এখানে অনেক কিছু শেখার সুযোগ আছে। আগে শিখতে চাই, তারপর বড় জায়গায় যেতে চাই। শেখার প্রক্রিয়াটাকে উপভোগ করতে চাই। নিজের দক্ষতা বাড়িয়ে বিসিবির কোচিংয়ের রাডারে আসতে চাই, তবে এখনই নয়।
ওয়ানডে দিয়ে ২০০১ সালের এপ্রিলে শুরু হয় ক্রিকেটার আশরাফুলের যাত্রা। একই বছরের সেপ্টেম্বরে খেলেছেন টেস্ট। অভিষেক ম্যাচেই সর্বকনিষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে হাঁকিয়েছেন সেঞ্চুরি। সবশেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেন ২০১৩ সালে। তারও ১০ বছর পর ২০২৩ সালে খেলেন শেষ প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট।
কোচিংয়ের শুরুতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সমালোচনার সঙ্গে প্রশংসাও করেছেন দেশি কোচ নিয়োগ নিয়ে, ‘‘বিসিবি এ সিদ্ধান্ত নিতে অনেক দেরি করেছে। তবে এটা ভালো সিদ্ধান্ত। জাতীয় দলের কোচিং প্যানেলে দেশীয় কোচদের যুক্ত করলে দেশীয় কোচদের দক্ষতা বাড়ে এবং ক্রিকেটারদের সঙ্গে কাজ করায় স্বাচ্ছন্দ্য আসে।