দেশ বিদেশ রিপোর্ট : সিলেট অপরূপ সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি। এই সিলেটকে প্রকৃতি সাজিয়েছে অপার মহিমায়। পাহাড় টিলায় বিস্তীর্ণ চা বাগান, জাফলং, মায়াবী ঝর্ণা, রাতারগুল, রামাইল শাপলা বিল, ডিবির হাওর ও ভোলাগঞ্জের সাদা পাথরের সাথে পাল্লা দিয়ে পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য কোম্পানীগঞ্জের তুরং ছড়া।
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের চেরাপুঞ্জির পাদদেশে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উত্তর রনিখাই ইউনিয়নের শেষ প্রান্তে অবস্থিত নয়নাভিরাম ও মায়াবী এই তুরং ছড়া। উঁচু পাহাড়ের বুক বেয়ে নেমে আসা সরু ঝরনায় কলকল করছে শীতল স্বচ্ছ পানি। সর্বত্র বিভিন্ন রঙের পাথর ছড়ানো। আকাশে কখনো ঘোলা মেঘ, কখনো ঘাড়ো নীল। কোলাহলমুক্ত নিরব দৃশ্যের সামনে দাঁড়ালে স্বর্গীয় অনুভূতি পাওয়া যায়। বৃষ্টি হলেই বেড়ে যায় তুরংয়ের পানির স্রোত। লোভ সামলাতে না পেরে ঠাণ্ডা পানিতে ভিজে অনেকেই শীতল করেন নিজেকে।
কিভাবে তুরং ছড়ায় যাবেন :
তুরং ছড়ায় যেতে চাইলে সিলেট শহর থেকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সদরে যেতে হবে। উপজেলা সদর থেকে আলোচনা সাপেক্ষে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে গেলে সরাসরি তুরং ছড়ায় যেতে সময় লাগবে প্রায় ১ ঘন্টা বা সিএনজিচালিত অটোরিকশায় দয়ারবাজার হয়ে চরারবাজার। চরারবাজার থেকে ৩০ মিনিট হাঁটার পর দেখা মেলবে ‘তুরং ছড়া’।
তুরং ছড়ার ভ্রমণটি প্রাকৃতিক এডভেঞ্চার। তুরং ছড়ায় থাকার ব্যবস্থা নেই তবে পাশের চরারবাজারে রয়েছে কয়েকটি ঘরোয়া পরিবেশে খাবারের রেস্টুরেন্ট। সেখানে অল্প দামে খেয়ে নিতে পারেন। থাকতে চাইলে উপজেলা সদরে রয়েছে সরকারি রেস্ট হাউজ, সাধারন আবাসিক হোটেল ও ভোলাগঞ্জ বাজারে রয়েছে একটি আবাসিক হোটেল ও সাদা পাথর নামে রিসোর্ট।