দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : আরও একবার ইউরোপ সেরার মুকুট পড়ল রিয়াল মাদ্রিদ। বরুশিয়া ডরটমুন্ডকে ২-০ গোলে হারিয়ে রেকর্ড ১৫তম বারের মতো এই প্রতিযোগিতার মুকুট পড়ল লস ব্লাংকোরা। দ্বিতীয়ার্ধে দানি কার্ভাহাল ও ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের গোলে শিরোপা নিশ্চিত হয় রিয়ালের। ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে অবশ্য শুরুটা দূর্দান্ত করেছিল বরুশিয়া ডর্টমুন্ড।
আক্রমণের পর আক্রমণ করে রিয়ালকে চাপে রাখে এডিন টেরজিকের দল। ১৩ মিনিটে রিয়ালকে বিপদে ফেলতে পারত ডর্টমুন্ড। কিন্তু জুলিয়ান ব্র্যান্ড প্রতিপক্ষের রক্ষণে ফাঁকায় বল পেলেও তা শট নিতে দেরি করেন। রিয়ালের এক ডিফেন্ডার বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করলে ঠিকঠাক শট নিতে পারেনি। বল চলে যায় বেশ বাইরে দিয়ে।
এরপর মধ্যমাঠের বলের দখল নেওয়ার চেষ্টায় থাকে রিয়াল। সুযোগের খোঁজে থাকে লস ব্লাংকোরা। ২১ মিনিটে অবশ্য আরেকবার সুযোগ পায় ডর্টমুন্ড কিন্তু এবার থিবো কোর্তোয়াকে একা পেয়েও বল জালে পাঠাতে পারেনি করিম আদেয়েমি। সতীর্থের বাড়ানোর ক্রস অফসাইড ফাঁদ ভেঙে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন কিন্তু কোর্তোয়া এগিয়ে এসে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করায় জার্মান এই ফরোয়ার্ড বাম দিকে জায়গা বের করতে চাইলে বলের গতি বেড়ে যায়। এরপরও বল নিয়ন্ত্রণে ছিল তার পায়েই, পরবর্তীতে দুরহ কোণ থেকে তার নেওয়া শট আটকে দেন দানি কার্ভাহাল।
দুই মিনিট পর আবারও রক্ষা পায় রিয়াল। এবার তাদের বাঁচিয়েছে গোলপোস্ট। কামাভিঙ্গার কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে দারুণ পাস বাড়ান ম্যাটসেন। সেই বল অফসাইড ফাঁদ ভেঙে পেয়ে যান নিকলাস ফুলক্রুগ, আগোয়ান গোলরক্ষকও ফাঁকিও দেন তবে তার শট সাইডবারে লেগে ফিরে আসে। তাতে হতাশা বাড়ে ডর্টমুন্ড শিবিরে।
মধ্যবিরতি থেকে ফিরেই ডর্টমুন্ডের রক্ষণ কাঁপায় রিয়াল। ফ্রিকিকে টনি ক্রুসের প্রচেষ্টা অবশ্য ঝাঁপিয়ে ফেরান গোলরক্ষক গ্রেগর কোবেল। এরপর ধীরে ধীরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দিকে নিতে থাকে রিয়াল। দশ মিনিটের ব্যবধানে ডর্টমুন্ডের স্বপ্ন ভেঙে ম্যাচ নিজেদের করে নেয় কার্লো আনচেলোত্তির শিষ্যরা। ৭৪ মিনিটে টনি ক্রুসের কর্নারের দূরের পোস্টে দারুণ হেডে জাল খুঁজে নিয়ে রিয়াল সমর্থকদের স্বস্তি এনে দেন কার্ভাহাল। আর ৮৩ মিনিটে ব্যবধান বাড়িয়ে রিয়ালকে শিরোপার আনন্দে ভাসান ভিনিসিয়ুস জুনিয়র।
এই প্রতিযোগিতায় সাফল্যের বিচারে রিয়াল মাদ্রিদ চলে গেল ধরাছোঁয়ার বাইরে। সবশেষ ১০ বছরে ছয়বার ফাইনাল খেলে সবক’টি ফাইনালই জিতল রিয়াল। আর সবমিলিয়ে এটি ১৫তম শিরোপা। তাদের পেছনে থাকা এসি মিলান জিতেছে সাতবার। তাদের থেকেও দ্বিগুনের বেশি শিরোপা রিয়ালের।