দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : রুবাইয়াত ফাতিমা তনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ জনপ্রিয়। ঠোঁটকাটা হিসেবে পরিচিতি রয়েছে তার। নেটিজেনরা কটূ কথা বললেই সোজা সাপ্টা জবাব দিতেন। একশ্রেণির অনুসারীও ছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। উদ্যোক্তা হিসেবেও রুবাইয়াত তনির পরিচিতি বেশ ছিল। ঢাকায় বেশ কয়েকটি কাপড়ের শোরুম রয়েছে। অনলাইনেও বেশ ভালো পরিমাণের পণ্য বিক্রি করতেন।
কিন্তু সেই তনির বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেল তিনি পাকিস্তানি জামা বলে গুলিস্তানের কাপড় চালিয়ে দিতেন। প্রাথমিক পর্যায়ে এমনই প্রমাণ পেয়েছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। শুধু তাই নয়, গুলশান এক নম্বরের পুলিশ প্লাজার সানভি’স বাই তনি শোরুমটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে পাকিস্তানি পোশাক আমদানির কাগজপত্র নিয়ে অধিদপ্তরে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে।
সোমবার পুলিশ প্লাজায় পুলিশ প্লাজার সানভি’স বাই তনি শোরুমে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এসময়ে কোনো চালান বা আমদানির কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। মূলত কয়েকজন ভোক্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানিতে হাজির হতে বলা হয় তনিকে। তিনি এ কথায় কর্ণপাত করেননি। পরে বাধ্য হয়ে এই অভিযান চালায় সংস্থাটি।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জানায়, শোরুমে পোশাকের পাশাপাশি অবৈধভাবে বিভিন্ন কসমেটিকসও বিক্রি করা হতো।
এ বিষয়ে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, আমরা বেশ কয়েকজন ভোক্তার কাছে অভিযোগ পেয়েছি, তারা পাকিস্তানি ড্রেস অনলাইনে বিক্রি করে কিন্তু তারা ডেলিভারি দেওয়ার সময় দেশি ড্রেস দেয়। সেগুলো পাকিস্তানি নামে বিক্রি করে আসছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে নোটিশ জারি করা হয় শুনানির জন্য, তিনি আসেননি। তাই আমরা অভিযানে এসেছি, অভিযানে তারা কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। আমরা শোরুম বন্ধ করে দিয়েছি এটা। এরপর পোশাক আমদানির কাগজপত্র নিয়ে আসতে বলেছি।