1. bazmedialink7@gmail.com : Baz Alam : Baz Alam
  2. mdkaif01133@gmail.com : md :
  3. talhanrcc2014@gmail.com : Talha : MD TALHA
  4. deshbidesh2022@gmail.com : Tuhin Ahmed : Tuhin Ahmed
দেশের সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড চুয়াডাঙ্গায় - DeshBideshNews
November 30, 2024, 4:50 am
 

দেশের সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড চুয়াডাঙ্গায়

  • Update Time : Monday, April 29, 2024
  • 63 Time View
দেশের সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড চুয়াডাঙ্গায়
দেশের সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড চুয়াডাঙ্গায়

দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে টানা তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সেখানকার জনজীবন। রোদের তাপে জেলা শহরের বিভিন্ন সড়কের পিচ গলে যেতে দেখা গেছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা চলতি মৌসুমে গোটা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এর আগে ২০১৪ সালে ২১ মে চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, চুয়াডাঙ্গায় আজ বিকেল ৩টা পর্যন্ত দেশের ও মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী দুই-একদিন তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর থেকে ধীরে ধীরে কমবে তাপ। আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে দাবদাহে হাঁপিয়ে উঠেছে চুয়াডাঙ্গার মানুষ। বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। বিশেষ করে দিনমজুর, নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী, রিকশাচালক, সাধারণ শ্রমিকসহ পথচারীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। তীব্র গরমে অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।

জেলা সদর হাসপাতালে বেড়েছে ডায়রিয়া ও শিশু রোগীর সংখ্যা। ওয়ার্ডের মেঝেতে রেখে চলছে চিকিৎসা। এছাড়া বহির্বিভাগেও প্রতিদিন গড়ে গরমজনিত কারণে ৪০০-৫০০ শিশু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আসাদুর রহমান মালিক খোকন।

অপরদিকে তীব্র গরমে চুয়াডাঙ্গা সদর, দামুড়হুদা ও আলমডাঙ্গা উপজেলার কয়েকটি এলাকায় পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। পানি পেতে ইলেকট্রিক মোটর নামানো হচ্ছে মাটির ১০ থেকে ১২ ফুট গভীরে। বিভিন্ন গ্রামের অনেক নলকূপে একেবারেই পানি উঠছে না। অনেকের নলকূপের পানি কম ওঠায় নতুন স্থানে নলকূপ বসিয়ে চেষ্টা করা হচ্ছে, কিন্তু লাভ হচ্ছে না।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও বিএডিসি ক্ষুদ্র সেচ দপ্তর বলছে, অপরিকল্পিতভাবে শ্যালো মেশিন দিয়ে পানি তোলা এবং যত্রতত্র পুকুর-খাল-বিল ভরাট করে ভূগর্ভস্থ পানির অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

তীব্র গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে লোডশেডিং। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে চুয়াডাঙ্গার জনজীবন। সব থেকে বেশি কষ্ট পাচ্ছে শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা। দিনে বাসায় থাকা দায় হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রাতে মশার যন্ত্রণা। গরমের সঙ্গে ঘন ঘন লোডশেডিং হওয়ায় সারা রাত নির্ঘুম কাটাতে হচ্ছে।

বিএডিসি ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্প চুয়াডাঙ্গা জোনের সহকারী প্রকৌশলী মো. শাহজালাল আবেদীন বলেন, দীর্ঘদিন বৃষ্টি নেই। অতিমাত্রায় খরা। এখন বোরো মৌসুমের শেষের দিকে। বোরো মৌসুমে প্রচুর পানি ব্যবহার করা হয়। যত্রতত্র পুকুর খনন ও অপরিকল্পিতভাবে পানি উত্তোলনের কারণে ধীরে ধীরে পানির লেভেল নিচে নেমে যাচ্ছে।

শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ