1. bazmedialink7@gmail.com : Baz Alam : Baz Alam
  2. mdkaif01133@gmail.com : md :
  3. talhanrcc2014@gmail.com : Talha : MD TALHA
  4. deshbidesh2022@gmail.com : Tuhin Ahmed : Tuhin Ahmed
স্বাস্থ্যসেবায় পাঁচ বছরে ব্যয় বেড়েছে তিন গুণ: গবেষণা - DeshBideshNews
November 24, 2024, 6:04 am
 

স্বাস্থ্যসেবায় পাঁচ বছরে ব্যয় বেড়েছে তিন গুণ: গবেষণা

  • Update Time : Wednesday, March 27, 2024
  • 110 Time View
স্বাস্থ্যসেবায় পাঁচ বছরে ব্যয় বেড়েছে তিন গুণ: গবেষণা

দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবায় ব্যয় ২০১৮ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে তিন গুণ বেড়েছে। পাঁচ বছরের ব্যবধানে মাথাপিছু মাসিক স্বাস্থ্য ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭০৪ টাকায়। সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) এবং যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট পরিচালিত এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। বুধবার (২৭ মার্চ) সানেমের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের তুলনায় গড় মাথাপিছু স্বাস্থ্য ব্যয় ২০২৩ সালে তিন গুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে মাসিক ১ হাজার ৭০৪ টাকায়। তবে, এ বর্ধিত স্বাস্থ্যসেবা ব্যয় সব আয়ের মানুষের মধ্যে সমান নয়। দরিদ্রতম ২০ শতাংশ পরিবারের জন্য এই বৃদ্ধি মাত্র দ্বিগুণ ছিল, যেখানে সবচেয়ে ধনী ২০ শতাংশ পরিবারের জন্য বৃদ্ধি ছয় গুণ। সানেম মনে করছে, স্বাস্থ্য ব্যয় বাড়ার ক্ষেত্রে করোনাভাইরাস মহামারির গুরুতর প্রভাব থাকতে পারে।

সানেমের গবেষণায় বলা হয়েছে, করোনা মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রধান সাফল্য ছিল যথাসময়ে ভ্যাকসিন সরবরাহ করা। বাংলাদেশে ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি কোভিড-১৯ টিকা দেওয়া শুরু হয়। এ সময় ৭৭ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ শতাংশ নারী ভ্যাকসিনের দুটির বেশি ডোজ পেয়েছেন।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের উৎপাদিত ওষুধের দাম ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে, যা স্বাস্থ্যসেবা ব্যয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে। করোনা মহামারি ও তার পরবর্তী সময়ে দেশের উৎপাদনমুখী বিভিন্ন খাত মুনাফা সংকটে ভুগলেও ওষুধ কোম্পানিগুলো তাদের ভালো প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছে।

ওষুধ খাতের কোম্পানিগুলোর মুনাফার প্রবৃদ্ধি গড়ে ১৫ শতাংশের বেশি, যা বাংলাদেশের অন্য যেকোনো খাতের তুলনায় আকর্ষণীয়। ওষুধের দাম বাড়ায় অনেক কোম্পানির মুনাফা বাড়লেও সামর্থ্যহীন মানুষজন ওষুধ খাওয়া কমিয়েছেন।

জরিপের তথ্য অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে গ্রামাঞ্চলে দারিদ্র্যের হার কমেছে। একই সময়ে দারিদ্র্যের হার বেড়েছে শহরাঞ্চলে। ২০১৮ সালে গ্রামীণ দারিদ্র্যের হার ২৪ দশমিক ৫ থেকে ২০২৩ সালে ২১ দশমিক ৬ শতাংশে নামলেও শহুরে দারিদ্র্যের হার ১৬ দশমিক ৩ থেকে বেড়ে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সরকার প্রদত্ত সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতায় এসেছে ৩৭ শতাংশ দরিদ্র জনগোষ্ঠী। এর মধ্যে টিসিবি ফ্যামিলি কার্ড সেবা সর্বোচ্চ সংখ্যক তথা ১৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ পরিবারের কাছে পৌঁছেছে। এছাড়া, বার্ধক্য ভাতা ৮ দশমিক ৯ শতাংশ; বিধবা, স্বামী নিগৃহীতা ও দুস্থ মহিলা ভাতা ৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ, আর্থিকভাবে অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা ৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ভাতা ৩ দশমিক ১৭ শতাংশ জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছেছে। কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর অধিকাংশই অর্থাৎ ৪৭ শতাংশ সেবা খাতে নিযুক্ত। ৩৬ কৃষি ও ১৮ শতাংশ শিল্প খাতে কর্মরত। জাতীয় পর্যায়ে বেকারত্বের হার ৩ দশমিক ৯ শতাংশ। গ্রামীণ এলাকায় এ হার ৩ দশমিক ৬ ও শহরাঞ্চলে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ।

শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ