দেশ বিদেশ রিপোর্ট : বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার সাংবাদিক মহিউদ্দিন সরকারকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বক্সনগর এলাকার নগর গ্রামে গুলি করে হত্যা করা হয়। এরপর লাশ ভারতীয় সীমান্তের শূন্যরেখার পশ্চিম পাশের জমিতে বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার রাজাপুর ইউনিয়নের হায়দ্রাবাদ গ্রামে লাশ ফেলে রাখা হয়।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার শংকুচাইল বিওপির (বর্ডার অপারেশন পোস্ট) সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানা যায়।
দেখা গেছে- ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পিলার নম্বর ২০৬৩-৬ এস- এর পূর্ব দিকে ভারতের নগর গ্রাম। পশ্চিমে বাংলাদেশের হায়দ্রাবাদ গ্রাম। উত্তরে পুকুর ও বাগান। দক্ষিণে ফসলি জমি। এর ফাঁকে ফাঁকে বসতভিটাও…।
স্থানীয়রা বলেন- গত বুধবার সীমান্ত পিলারের ২ থেকে ৩ গজ অদূরে সাংবাদিক মহিউদ্দিনের লাশ ফেলা হয়। খবর পেয়ে বিজিবির সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে মহিউদ্দিনকে উদ্ধার করেন। এ সময় হায়দ্রাবাদের লাগোয়া পাচোঁড়া গ্রামের দুই যুবক তাঁকে বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিজিবি মহিউদ্দিনকে বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে সরিয়ে আনার কিছুক্ষণের মধ্যে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের সদস্য ঘটনাস্থলে আসেন। তাঁরা এসে জানতে পারেন লাশটি বাংলাদেশ সীমান্তে পড়ে ছিল। পরে তাঁরা চলে যান।
স্থানীয়রা আরো বলেন- কয়েক বছর আগেও সীমান্তের এই গ্রামগুলোর কিছু মানুষ মাদক কারবারি, চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এখন সীমান্ত দিয়ে কাপড়, থ্রি পিস ও চিনির বস্তা আগের মতো তেমন আসে না। তবে ফেনসিডিলের প্রবেশ বন্ধ হয়নি। সীমান্তের একেকটি বাড়ির কারবারিরা ফেনসিডিল মজুত রাখেন। প্রতিদিন বিকেলে ওই ফেনসিডিল সেবনে শত শত তরুণ-যুবক সেখানে যান। এ ক্ষেত্রে বিজিবি ও পুলিশ প্রশাসনের কোনো নজরদারি নেই।
রিমান্ডের শুনানি পেছাল : সাংবাদিক মহিউদ্দিন সরকার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার চার আসামির রিমান্ডের আবেদনের শুনানির তারিখ পিছিয়েছে। কাল বুধবার রিমান্ডের আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত। একই সঙ্গে আদালত এই মামলার প্রয়োজনীয় সব নথি আদালতে উপস্থাপনের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।