সোহেল আহমদ চৌধুরী, বার্মিংহাম প্রতিনিধি : মরহুম এইচ এম আশরাফ আহমদ বৃটেনের বাংলা মিডিয়া ও কমিউনিটির অতি পরিচিত মুখ। বার্মিংহাম থেকে এডিনবরা পর্যন্ত কমিউনিটির প্রতিটি ক্ষেত্রে মানুষটি নিজকে প্রতিটি কাজে অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে সম্পৃক্ত করে রাখতেন। কমিউনিটির যে কোন দুঃসময়ে অতন্দ্র প্রহরীর মত সাথে থাকতেন আর তিনি হচ্ছেন মরহুম এইচ এম আশরাফ আহমেদ।
৩রা ডিসেম্বর রোজ রোববার । জোহরের নামাজের পর ১.০০ ঘটিকায় কভেন্ট্রি রোড জামে মসজিদ এন্ড ইসলামিক সেন্টারে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বৈরি আবহাওয়া উপেক্ষা করে বৃষ্টির মধ্যে বৃটেনের বিভিন্ন শহর থেকে আসা শুভানুধ্যায়ীর উপচেপড়া ভীড় ছিল চোখে পড়ার মত। বৃষ্টির মধ্যে কার পার্কে দাঁড়িয়ে আগত মুসল্লিরা জানাযায় অংশ গ্রহন করেন মসজিদে স্থান সংকুলান না হওয়ায় কারণে।
জানাযা শেষে বিকাল ৩ ঘটিকায় সটন কোল্ড ফিল্ডের নিউ সেমেট্রি নামের কবর স্থানে সকল শুভানুধ্যায়ী নিজ পরিবারের সদস্য আত্মীয় স্বজন বন্ধু-বান্ধবের চোখের জল আর ভালবাসায় সিক্ত হয়ে অন্ততের পথে চির দিনের জন্য যাত্রা করলেন কমিউনিটির অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত ও প্রবীণ সাংবাদিক সকলের অত্যন্ত প্রিয় মরহুম এইচ এম আশরাফ আহমেদ।
বার্মিংহাম স্মলহীতের বাসিন্দা ছিলেন মরহুম এইচ এম আশরাফ আহমেদ । তিনি ছিলেন আমাদের বাঙালি কমিউনিটির একজন নিবেদিত মানুষ । তিনি কমিউনিটির পাশাপাশি বাংলা মিডিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে গেছেন। তিনি ছিলেন চ্যানেল এস এর মিডল্যান্ডের ব্যুরো চিফ এবং শাহ পরান জামে মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান । তাঁর এই অকাল প্রয়াণে বার্মিংহামবাসি হারিয়েছে এক নিবেদিত প্রাণ কর্মপাগল মহান সংগঠককে।
মরহুম আশরাফ আহমেদ ৩০ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার ভোর ৭টা ৫ মিনিটে বার্মিংহামের হার্টল্যান্ড হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৬৩ বছর। তিনি চার ছেলে ও তিন মেয়ের জনক। মৃত্যুকালে স্ত্রী-সন্তানসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন। উল্লেখ্য যে, গত কয়েক মাস যাবত তিনি পারকিনসন রোগে ভুগছিলেন।
মরহুমের গ্রামের বাড়ি সুনামগন্জের জগন্নাথপুর উপজেলার পাটলি ইউনিয়নের মোল্লা বাড়ি।