নিজস্ব প্রতিবেদক : ছোট ছোট পাত্রে লাউ, মিষ্টিকুমড়া, পুঁইশাক, ঢ্যাঁড়স, উচ্ছে, ঝিঙে, সরিষা, মুসুরসহ হরেক রকমের সবজি, শস্য ও ফলের বীজ। আছে ধানের বীজও। সবই স্থানীয় জাতের। পাত্রগুলো সুন্দর করে গুছিয়ে সামনে সাজিয়ে রাখা। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার গঙ্গারামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে বসা গ্রামীণ বীজমেলার দৃশ্য।
বীজমেলায় নারীরা তাঁদের সংগ্রহে থাকা দেশি জাতের বীজ নিয়ে এসেছিলেন। বীজগুলো তাঁরা নিজেদের বাড়িতে লাগানোর জন্য সংগ্রহে রাখেন। কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণ নিয়ে কাজ করা বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান ‘লোকজ’ এ মেলার আয়োজন করেছিল। মেলার মূল উদ্দেশ্য ছিল হারিয়ে যাওয়া দেশি জাতের বীজ বিনিময় ও প্রদর্শন করা।
আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, বটিয়াঘাটা উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের ১৭টি গ্রামের নারীরা এ বীজমেলায় অংশ নিয়েছিলেন। সাধারণত দেশি জাতের বীজ সংরক্ষণকারী ব্যক্তিদের মধ্যে সমন্বয় করার জন্য প্রতিবছর এ ধরনের মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে। গত দুই বছর কোভিডের কারণে বীজমেলা করা সম্ভব হয়নি। তবে এ বছর স্বল্প পরিসরে হলেও আবার শুরু করা হয়েছে।মেলায় সবচেয়ে বেশি বীজ সংরক্ষণকারী তিনজনকে পুরস্কৃত করা হয়।
এ মেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বটিয়াঘাটা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন লোকজের নির্বাহী পরিচালক দেবপ্রসাদ সরকার।