দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ বলেছেন, নাইজারে ফরাসি দূতাবাসে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জিম্মির মতো জীবনযাপন করছেন এবং খাদ্য সরবরাহে বাধা দেওয়ার জন্য সামরিক শাসকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। শুক্রবার পূর্বাঞ্চলীয় শহর সেমুর-এন-অক্সোয়েস সাংবাদিকদের ম্যাখোঁ বলেছেন, রাষ্ট্রদূত সামরিক রেশন নিয়ে বেঁচে আছেন। ম্যাখোঁ আরো বলেন, “আমাদের একজন রাষ্ট্রদূত এবং কিছু কূটনৈতিক কর্মীরা আছেন, যারা আক্ষরিক অর্থে ফরাসী দূতাবাসে জিম্মি হয়ে আছেন।” নাইজারের নতুন সামরিক শাসকদের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারা খাদ্য সরবরাহে বাধা দিচ্ছে।
সে এখন সামরিক রেশন খাচ্ছে। এর আগে ক্ষমতা দখলের পর ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল নাইজারের সামরিক জান্তা সরকার। এমন সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় ফ্রান্স জানায়, নাইজারে তাদের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করার কোনো অধিকার নেই সামরিক অভ্যুত্থানকারীদের।আফ্রিকার দেশ নাইজারে সম্প্রতি ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী।
তারা রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ বাজুমকে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতা দখল করে। ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতকে দেশে আনার বিষয়টি বিবেচনা করবে কি না জানতে চাইলে ম্যাখোঁ বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট বাজুমের সঙ্গে আমরা যা যা করতে সম্মত হয়েছি আমরা তাই করব। কারণ তিনি বৈধ সরকার এবং আমি প্রতিদিন তার সঙ্গে কথা বলি।’
ফ্রান্স নাইজারে প্রায় ১ হাজার ৫০০ সৈন্য রেখেছে এবং এই মাসের শুরুতে ফ্রান্স বলেছিল সেনা পুনঃনিয়োগের জন্য কেবল বাজউমের সঙ্গে আলোচনা করা যেতে পারে। দেশটির নতুন নেতারা ফ্রান্সের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতার চুক্তি ভেঙে ফেলেছে এবং সৈন্যদের দ্রুত চলে যেতে বলেছে। ম্যাখোঁ কয়েক সপ্তাহ ধরেই ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে অপসারণের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে আসছে। এই দাবিটিকে তিনি একটি উসকানি হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ফ্রান্সের মতো ইইউ পররাষ্ট্র বিষয়ক মুখপাত্র নাবিলা মাসরালিও গত মাসে বলেছেন, ইইউ নাইজারে ক্ষমতা দখলকারী সরকারকে স্বীকৃতি দেয় না।