দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : সুদানে সেনাবাহিনীর গোলাবর্ষণে কমপক্ষে ৩২ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন কয়েক ডজন। স্থানয়ী সময় মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘটে। গত এপ্রিলে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে এক দিনের লড়াইয়ে এটি সর্বোচ্চ নিহতের ঘটনা।
স্থানীয়রা বলছেন, সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স নিয়মিত জনবহুল এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এতে রাজধানী খার্তুম এবং অন্যান্য শহরে শত শত বেসামরিক মানুষ হতাহত হয়েছে। যদিও আরএসএফ খার্তুম ও ওমদুরমান শহরগুলোর বেশিরভাগ স্থান দখল করে নিয়েছে এবং রাজধানীর পরিসর আরো বড় করছে। তারপরও সুদানের সেনাবাহিনীর কাছে ভারী কামান এবং বিমান বাহিনীর শক্তি রয়েছে।
মঙ্গলবার পশ্চিম ওমদুরমানের ওম্বাদা পাড়ায় এই গোলাবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এই সপ্তাহের শুরুর দিকে সামরিক সূত্র জানিয়েছে, সেনাবাহিনী ওমদুরমানে প্রচুর সংখ্যক এলাকায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। দারফুর অঞ্চল থেকে রাজধানীতে আরএসএফ-এর প্রধান চলাচলের রুটটি বন্ধ করতে একটি বড় অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে সেনাবাহিনী। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা জানিয়েছেন, গত রবিবার ওম্বাদাতে সেনা হামলায় ১৯ জন নিহত হয়েছে।
বাসিন্দারা বলছেন, বুধবার ওম্বাদা পাড়া থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ পালিয়ে গেছে। ক্ষেপণাস্ত্র এবং অন্যান্য কামান নিক্ষেপের পাশাপাশি বেসামরিক এলাকা লুটপাট ও দখল করে বাড়িঘরের ক্ষতি করছে আরএসএফ। এমন অভিযোগ করছে বাসিন্দারা। গণতন্ত্রপন্থী আইনজীবীরা বুধবার বলেছে, ‘জনবহুল এলাকায় ভারী এবং হালকা কামানের ব্যবহার কারাও যুদ্ধাপরাধ … এবং এটির অর্থ বেসামরিক মানুষের জীবনকে দাম না দেওয়া।’ তারা আরো জানান, সেনাবাহিনী এবং আরএসএফকে বিচারের আওতায় আনা হবে।
এদিকে মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত থাকার জন্য বুধবার আরএসএফ-এর উপ-প্রধানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। অবশ্য এর আগেও সংঘাতরত উভয় পক্ষের সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল দেশটি। গত ১৫ এপ্রিল সুদানে সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ) মধ্যে ক্ষমতার দখল নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বেঁধে যায়। দুই বাহিনীর এ লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত ৫ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এছাড়া বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে হাজার হাজার মানুষ। রাজধানী খার্তুমের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে আরএসএফের সেনাদের দখলে।