আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরায় হাভেলি জেলার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বোর্ড পরীক্ষা’র হলে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছেনা। এরপর স্কুলের পোশাক পরে ফিরে আসার পর একজনকে পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া হয় আর ৩ জন পরীক্ষা আসেনি। রাজ্যের বাগলকোট জেলাতেও এমন একটি ঘটনা ঘটেছে। এক শিক্ষার্থীকে হিজাব ছাড়া আসতে বলা হয়। তবে হিজাব খোলার পরিবর্তে সে পরীক্ষা দেয়নি।
উর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা মোহন কুমার বলেন- বোরকা পরে ওই শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে এসেছিল। সে স্কুলের পোশাকবিধি মানেনি। আমরা তাকে বোঝাই, উচ্চ আদালতের নির্দেশ মেনে চলতে হবে।
চলতি মাসের শুরুতে কর্ণাটকের হাইকোর্ট রুল দিয়ে বলেন- ধর্মীয়ভাবে হিজাব আবশ্যক নয়। সবাইকে স্কুল ও কলেজের নির্দেশনা অনুযায়ী পোশাক পরে যেতে হবে।
রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অরগ জনেন্দ্র বলেছেন- যারা নিয়ম লঙ্ঘন করবে, তাদের শাস্তির মুখে পড়তে হবে। আমরা এ ব্যাপারে কোনো ছাড় দেব না। সবাইকে হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে চলতে হবে। পরীক্ষা দিতে চাইলে শিক্ষার্থীদের হিজাব খুলে আসতে হবে।
রাজ্যের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষামন্ত্রী বি সি নগেশ বলেন- সরকারি নিয়ম যারা মানবে না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।
কর্ণাটকে গতকাল সোমবার থেকে শুরু হওয়া উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ৮ লাখ ৭৪ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। আগামী ১১ এপ্রিল সর্বশেষ পরীক্ষা হওয়ার কথা।
তবে হিজাব পরতে না দেওয়ার প্রতিবাদে রাজ্যের কিছু মুসলিম নারী শিক্ষার্থী পরীক্ষা বর্জনের হুমকি দিয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা পিটিআই।