দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : ম্যাচের আগেরদিন সংবাদ সম্মেলনে ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল পাকিস্তানের তিন পেসারকে সামলানো প্রসঙ্গে। জবাবে তিনি উপযুক্ত প্রস্তুতি গ্রহণের কথা বলেছিলেন। কিন্তু আজ মাঠে তার ছাপ দেখা গেল না। পাকিস্তানের ভয়ংকর পেস আক্রমণের সামনে ভারত অলআউট হলো ২৬৬ রানে।
হার্দিক পান্ডিয়া এবং ইশান কিশানের দুর্দান্ত দুটি পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস ছাড়া ভারতের প্রাপ্তি নেই। পাকিস্তানের সেই তিন পেসারই নিয়েছেন ভারতের সব উইকেট। পাল্লেকেলে ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। শুরু থেকেই পাকিস্তানের ভয়ংকর পেস আক্রমণে তাদের অবস্থা নাজেহাল হয়ে পড়ে! দলীয় ১৫ রানে অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে (১১) বোল্ড করে দেন শাহিন শাহ আফ্রিদি।
তিনে নেমে বিরাট কোহলিও আজ চরম ব্যর্থ। ৭ বলে ৪ রান করে শাহিন আফ্রিদির বলে বোল্ড হয়ে যান! চারে নামা শ্রেয়স আয়ার পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করেছিলেন। তবে হারিস রউফের বলে ফখর জামানের তালুবন্দি হয়ে তিনি থামেন ১৪ রানে। অপর ওপেনার শুভমান গিলকেও অচেনা লাগছিল। ভীষণ ধীরগতিতে ব্যাট করছিলেন এই আগ্রাসী ওপেনার। হারিস রউফের শিকার হওয়ার আগে করেন ৩২ বলে মাত্র ১০ রান! ৬৬ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর ভারতের ইনিংস গড়ার দায়িত্ব নেন ইশানা কিশান এবং হার্দিক পান্ডিয়া। মারকুটে ব্যাটিংয়ে ৫৪ বলে ফিফটি তুলে নেন ইশান। অপরদিকে হার্দিকও ৬২ বলে তুলে নেন ফিফটি। ১৪১ বলে ১৩৮ রানের এই জুটি ভাঙে ইশান কিশানের বিদায়ে।
সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়ে ৮১ বলে ৯ চার ২ ছক্কায় ৮২ রান করে হারিস রউফের বলে বাবর আজমের তালুবন্দি হন এই তরুণ।
আশ্চর্যজনকভাবে হার্দিকও সেঞ্চুরি পাননি! ৯০ বলে ৭ চার ১ ছক্কায় ৮৭ রান করে শাহিন আফ্রিদির তৃতীয় শিকারে পরিণত হন। শার্দুল ঠাকুর (৩) এসেই নাসিম শাহর বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন। শেষে জসপ্রিত বুমরাহ ১৪ বলে ৩ চারে করেন ১৬ রান। ৪৮.৫ ওভারে ২৬৬ রানে অলআউট হয় ভারত। শাহিন আফ্রিদি ১০ ওভারে মাত্র ৩৫ রানে নেন ৪ উইকেট। এছাড়া নাসিম শাহ ৩৬ রানে ৩টি এবং হারিস রউফ ৫৮ রানে ৩ উইকে নেন।