দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে শুরুতে লিড নেওয়ার পর ছন্দ হারাল ব্রাজিল। উজ্জীবিত ফুটবল খেলে দুই গোলে এগিয়ে গেল সেনেগাল। পরে ব্যবধান কমালেও শেষ রক্ষা হলো না পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। স্মরণীয় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল সেনেগাল। পর্তুগালের লিসবনে মঙ্গলবার রাতে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচটি ৪-২ গোলে জিতেছে সেনেগাল। দুই দলের দ্বিতীয়বারের দেখায় প্রথম জয় পেল আফ্রিকার দেশটি। ২০১৯ সালে সিঙ্গাপুরে প্রথম ম্যাচটি ১-১ ড্র হয়েছিল। সেনেগালের হয়ে এবার জোড়া গোল করেন দলটির তারকা ফরোয়ার্ড সাদিও মানে।
সপ্তম মিনিটে প্রতিপক্ষের ভুলে বক্সে আলগা বল পান ব্রাজিলের ব্রুনো গিমারেস। তবে উড়িয়ে মেরে হতাশ করেন নিউক্যাসল ইউনাইটেডের এই মিডফিল্ডার। গোলের জন্য অবশ্য বেশিক্ষণ অপেক্ষায় থাকতে হয়নি তাদের। একাদশ মিনিটে বাঁ দিক থেকে ভিনিসিউস জুনিয়রের ক্রসে ছয় গজ বক্সের মুখে লাফিয়ে হেডে দলকে এগিয়ে নেন লুকাস পাকেতা। পঞ্চদশ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়ে বাইরে মারেন রিশার্লিসন। দুই মিনিট পর ভিনিসিউস প্রতিপক্ষের বক্সে পড়ে গেলে প্রথমে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি, তবে ভিএআরের সাহায্যে সিদ্ধান্ত বদলান তিনি।
২২তম মিনিটে সমতা ফেরায় সেনেগাল। যেখানে দায় ছিল ব্রাজিলের রক্ষণের। বক্সে প্রতিপক্ষের ক্রস ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেনি তারা। পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে বাঁ পায়ের জোরাল ভলিতে গোলটি করেন হাবিব দিয়ায়ো। দ্বিতীয়ার্ধের সপ্তম মিনিটে নিজেদের ভুলে পিছিয়ে পড়ে ব্রাজিল। মানের ক্রসে দিয়ায়োর হেড ক্লিয়ার করার চেষ্টায় নিজেদের জালেই বল পাঠান মার্কিনিয়োস।
তিন মিনিট পর মানের অসাধারণ এক গোলে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় সেনেগাল। শুরুতে পেপ গেয়ের শট ফিরিয়ে দেন এদেরসন। ফিরতি বল দিয়ায়ো পেয়ে পাস দেন মানেকে। বাঁকানো শটে দূরের পোস্টের ওপরের কোণা দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন বায়ার্ন মিউনিখ ফরোয়ার্ড।
খানিক পর মার্কিনিয়োসের গোলে ব্যবধান কমায় ব্রাজিল। কর্নারের পর পিএসজির এই ডিফেন্ডার বল বুক দিয়ে নামিয়ে লব শটে ক্রসবার ঘেঁষে জালে পাঠান। বাকি সময়ে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া চেষ্টা চালায় ব্রাজিল, কিন্তু গোলের দেখা আর পায়নি তারা। যোগ করা সময়ে স্পট কিকে সেনেগালের চার নম্বর গোলটি করেন মানে। নিকোলাস জ্যাকসনকে গোলরক্ষক এদেরসন ফাউল করলে পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি। কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন কোচের হাত ধরে তিন ম্যাচ খেলে দুটি হারল ব্রাজিল।