দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : অস্ট্রিয়ায় গতকাল নিউজিল্যান্ড বনাম কাতারের মধ্যকার আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল ম্যাচটি বর্ণবাদের অভিযোগে পরিত্যক্ত হয়ে গেছে। নিউজিল্যান্ডের দাবি, প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড় দ্বারা তাদের একাধিক খেলোয়াড় বর্ণবাদের শিকার হয়েছেন। বিরতির ঠিক আগে ঘটনাটি ঘটেছে বলে নিউজিল্যান্ড দাবি জানিয়েছে। ওই সময় নিউজিল্যান্ড ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল। এর প্রতিবাদে দ্বিতীয়ার্ধে আর মাঠে ফেরেনি নিউজিল্যান্ড। নিউজিল্যান্ড ফুটবল টুইটারে লিখেছে, ‘কাতারি একজন খেলোয়াড় দ্বারা অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার মাইকেল বক্সাল বর্ণবাদের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ধরনের ব্যবস্থা না নেওয়ায় দ্বিতীয়ার্ধ্বে নিউজিল্যান্ড মাঠে ফিরতে অস্বীকৃতি জানায়।’
নিউজিল্যান্ড ফুটবলের প্রধান নির্বাহী এ্যান্ড্রু প্রাগনেল বলেছেন, তাদের পুরো ফেডারেশন খেলোয়াড়দের এই সিদ্ধান্তে পূর্ণ সমর্থন করেছে।এক বিবৃতিতে প্রাগনেল বলেন, ‘আমরা কখনোই ম্যাচ বাতিলের পক্ষে না। কিন্তু কিছু কিছু বিষয় কখনো ফুটবলের থেকেও বড় হয়ে দেখা দেয়। এ ধরনের ঘটনায় শক্ত অবস্থান নেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। ফুটবলে বর্ণবাদের কোনো জায়গা নেই।
কাতারের কোচ কার্লোস কুইরোজ বলেছেন, নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক বিরতির সময় তাদের জানিয়ে দিয়েছেন তারা আর মাঠে নামবেন না। এ সম্পর্কে কাতারি স্পোর্টস চ্যানেল আলকাসে কুইরোজ বলেছেন, ‘বিষয়টি মূলত এমন, দুজন খেলোয়াড় মাঠে একে অপরের সাথে বাক্য বিনিময় করছে। আমরা এমনটাই দেখেছি। নিউজিল্যান্ড খেলোয়াড়রা তাদের সতীর্থকে সমর্থন করেছে। আমাদের খেলোয়াড়রা সবাই স্বাভাবিকভাবেই তাদের সতীর্থকে সমর্থন করেছে।
নিউজিল্যান্ড না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এখানে আমাদের কিছু করার নেই। রেফারি কোনো ধরনের কথাবার্তা শোনেনি, ডাগ আউটে বেঞ্চের খেলোয়াড়রা, কোচরা কেউই কিছুই শোনেনি। শুধু দুই খেলোয়াড়ের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হতে দেখা গেছে।’ কুইরোজ আশা করেন, ফিফা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করবে। তিনি বলেন, ‘দেখা যাক এ বিষয়ে ফুটবল কর্তৃপক্ষ কী সিদ্ধান্ত নেয়। আমি মনে করি ফিফা পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।’
এদিকে গতকাল অস্ট্রিয়ায় অনুষ্ঠিত আরো একটি ম্যাচও একই কারণে বাতিল হয়ে গেছে। আয়ারল্যান্ড ও কুয়েত অনূর্ধ্ব-২১ দলের মধ্যকার ম্যাচটিতে আইরিশ এক বদলি খেলোয়াড় বর্ণবাদের শিকার হওয়ায় ম্যাচটি বাতিল ঘোষণা করা হয়। ম্যাচটি ৭০ মিনিট পর্যন্ত মাঠে গড়িয়েছিল। ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন অব আয়ারল্যান্ড (এফএআই) টুইটারে বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করেছে। সেখানে তারা বলেছে, এ ধরনের ঘটনা এফএআই কখনোই সহ্য করবে না। বিষয়টি খুবই গুরুত্বের সাথে ফিফা ও উয়েফার কাছে রিপোর্ট করা হবে।