দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : সমীকরণ জানাই ছিল বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের। মেইঞ্জের বিপক্ষে জিতলেই লিগ শিরোপা পুনরুদ্ধার হতো ক্লাবটির। তাই সিগন্যাল ইদুনা পার্ক এদিন হলুদে হলুদে ভরে উঠেছিল। শুধু স্টেডিয়াম নয়, ডর্টমুন্ড শহরেই ছিল হলুদের সমারোহ।
কিন্তু উৎসবের আমেজ ম্লান হয়ে গেল নিমেষেই। একটি জয়ের সেই সমীকরণ মেলাতে পারেনি এডিন টেরজিকের দল। ঘরের মাঠে মেইঞ্জের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেছে তারা। তাতে লিগের শিরোপা তুলে দিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখের হাতে। বায়ার্ন মিউনিখও কোনো ভুল করেনি। কোলনের বিপক্ষে জিতেছে ২-১ গোলে। এতে দুই দলের পয়েন্ট সমান হওয়ায় লিগের ভাগ্য নিষ্পত্তি হয় গোল ব্যবধানে। ৩৪ ম্যাচে ৭১ পয়েন্ট বায়ার্নের। একই পয়েন্ট ডর্টমুন্ডেরও। কিন্তু বায়ার্নের গোল গড় (+৫৪) এবং ডর্টমুন্ডের (+৩৯)। এ নিয়ে টানা ১১ বারের মতো বুন্দেসলিগার শিরোপা ঘরে তুলেছে বাভারিয়ানরা। সিগন্যাল ইদুনা পার্কে ডর্টমুন্ড সমর্থকদের স্তব্ধ করে ১৫ মিনিটে এগিয়ে যায় মেইঞ্জ। তিন মিনিট পরই সমতা ফেরানোর সেরা সুযোগ নষ্ট করে ডর্টমুন্ড।
পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন সেবাস্তিয়ান হলার। ২৪ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে চালকের আসনে বসে মেইঞ্জ। তাতে ডর্টমুন্ডের শিরোপাস্বপ্ন ধূসর হয়ে যায়। ৬৯ মিনিটে রাফায়েল গুয়েরেইরো এবং যোগ করা সময়ে নিকোলাস সুলের গোল শুধু হারই বাঁচিয়েছে।
একই সময়ে তখন কোলনের মাঠে শিরোপা উৎসবের প্রহর গুনছিল বায়ার্ন মিউনিখ।
ম্যাচের অষ্টম মিনিটে কিংসলে কোমান গোল করে জয়ের পথে রাখেন চ্যাম্পিয়নদের। কিন্তু ৮১ মিনিটে ডিয়ান লুবিচিচের পেনাল্টি গোলে সমতা ফেরায় কোলন। বায়ার্নের গোল হজমে তখন স্বস্তি ফিরে আসে ডর্টমুন্ড শিবিরে। কিন্তু সেই স্বস্তি উবে যায় মুহূর্তেই। ৮৯ মিনিটে জামাল মুসিয়ালার দারুণ গোলে শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যায় বাভারিয়ানদের। বায়ার্ন মিউনিখ ও বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের সঙ্গে আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলা নিশ্চিত করেছে লিপজিগ ও ইউনিয়ন বার্লিন। আর লিগ থেকে অবনমন হয়েছে শালকে ও হার্থার।