দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : সুদানের জন্য ২৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সাহায্য ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই অর্থ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে, যারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করে। প্রায় দশ লাখ মানুষ সুদানে যুদ্ধের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। লাখ লাখ মানুষ ঘরছাড়া। তাদের কাছে সাহায্য পৌঁছে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। মার্কিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন জানিয়েছেন, সামরিক বাহিনীর প্রধান এবং বিদ্রোহী প্যারামিলিটারির প্রধানকে জানানো হয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
এদিকে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও সুদানে আরো বিমান হামলা ও সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। দেশটিতে যুদ্ধবিরতির সর্বশেষ প্রচেষ্টার আশাও কমে গিয়েছে। সুদানের সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) সাত দিনের মানবিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছিল। গতকাল শনিবার সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) এই তথ্য জানায়। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরও এই তথ্য নিশ্চিত করেছিল। নতুন চুক্তিটি যুদ্ধরত পক্ষগুলো জেদ্দায় স্বাক্ষরও করেছে।
তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা ইতিমধ্যে রাজধানী খার্তুম এবং অন্য এলাকায় আরো সংঘর্ষের কথা জানিয়েছে। সহিংসতা পাঁচ সপ্তাহ আগে শুরু হয়েছিল।
সেনাবাহিনী এবং একটি আধাসামরিক গোষ্ঠীর নেতাদের মধ্যে ক্ষমতার লড়াইয়ের ফলে শুরু হয়েছিল এই যুদ্ধ। উত্তর-পূর্ব আফ্রিকার দেশটিতে কয়েকবার যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করেও তা ব্যর্থ হয়। রেড ক্রস জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বহু মানুষ ঘর হারিয়ে পার্শ্ববর্তী চাঁদের জঙ্গলে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।
কিছুদিনের মধ্যেই সেই জঙ্গলে বৃষ্টি শুরু হবে। আর তা শুরু হলে জঙ্গলের ওই জায়গা যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। না খেতে পেয়ে মৃত্যু হবে অসংখ্য মানুষের। ফলে দ্রুত তাদের কাছে পৌঁছানো প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সুদানের প্যারামিলিটারি প্রধান জেনারেল মোহামেদ হামদান দাগালো সেনা বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন। তার সেনার সঙ্গে লড়াই হচ্ছে দেশের সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাতাহ বুরহানের। কোনো অংশই যুদ্ধ থামাতে রাজি নয়। দাগালো জানিয়েছেন, দেশের ক্ষমতা হাতে না পাওয়া পর্যন্ত তিনি লড়াই চালিয়ে যাবেন।