দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : আগামী বছর তাইওয়ানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। চীনের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক মোটেও সুবিধাজনক জায়গায় নেই। এই পরিস্থিতিতে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন শনিবার তাইওয়ানে শান্তি ও স্থিতিশীলতার বর্তমান অবস্থা বজায় রাখার জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। চীনের সঙ্গে বেড়ে চলা উত্তেজনার মাঝেও শান্তি বজায় রাখবেন বলে মন্তব্য করেছেন সাই ইং-ওয়েন। নিজের মেয়াদের সপ্তম বার্ষিকীতে একথা বলেন প্রেসিডেন্ট।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে সপ্তম বছর পূর্তিতে বক্তৃতার সময় সাই ইং-ওয়েন বলেন, “চীনের বেসামরিক আক্রমণ এবং সামরিক হুমকির মুখেও তাইওয়ানের জনগণ শান্ত রয়েছেন। তারা আক্রমণাত্মক নন, যুক্তিবাদী। তাদের মধ্যে উত্তেজনা নেই। তাইপেইয়ে এই বক্তৃতা দেয়ার সময় তিনি বলেন, “যুদ্ধ কোনো বিকল্প নয়। কোনো পক্ষ একতরফাভাবে অশান্তিপূর্ণ উপায়ে স্থিতাবস্থা পরিবর্তন করতে পারে না। চীনের চাপ সত্ত্বেও তাইওয়ান দায়িত্বশীলভাবে ঝুঁকি সামলাচ্ছে। তাইওয়ান চীনের চাপ বা উসকানির কাছে নতি স্বীকার করবে না।
তিনি জানান, তার মেয়াদকালে তাইওয়ানের বাসিন্দারা বিশ্বকে আত্মরক্ষার জন্য তাইওয়ানের সংকল্প বুঝিয়ে দিয়েছে। তার কথায়, “যদিও তাইওয়ানকে ঝুঁকি দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। তবে তাইওয়ান কোনোভাবেই কারও জন্য ঝুঁকি তৈরি করেনি। বরং আমরা ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার বিষয়টি নিয়ে দায়িত্বশীল। বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশ এবং সম্প্রদায়গুলিকে পাশে নিয়ে যৌথভাবে ঝুঁকি কমানোর কাজ করবে তাইওয়ান। সাই আরো বলেন, ‘‘তাইওয়ানের কর্মকর্তারা বর্তমানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে ৫০০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের অস্ত্র সহায়তার বিষয়ে আলোচনা করছে। তাদের লক্ষ্য কোভিডের ফলে যে দেরি হয়েছিল, তা মিটমাট করে নেয়া।”
বক্তব্যে তাইওয়ানের সাপ্লাই চেইনের বৈশ্বিক তাৎপর্যের উপর জোর দিয়েছেন, যা উন্নত সেমিকন্ডাক্টর চিপ উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দেশের শীর্ষস্থানীয় চিপ প্রযুক্তি এবং গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রগুলিকে ধরে রাখার অঙ্গীকার করেছেন সাই। এদিকে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার একটি বিবৃতি অনুসারে, জাপানের হিরোশিমায় একটি শীর্ষ সম্মেলনে জি-সেভেন দেশগুলির নেতারা তাইওয়ান সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য তাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।